কম্পিউটার ব্যবহারের শুরু থেকেই বাংলাদেশিরা যেই সফটওয়্যারের সাথে খুবই সুপরিচিত- তা হল মাইক্রোসফট অফিস ২০১৯ এর ওয়ার্ড, এক্সেল ও পাওয়ার পয়েন্ট।মাইক্রোসফট অফিস ২০১৯ এর এই তিনটি সফটওয়্যারের ব্যবহার সমগ্র বিশ্বের মত বাংলাদেশেও বেশ জনপ্রিয়। এগুলি এতই প্রচলিত সফটওয়্যার যে, গ্রাম বা শহর, সরকারি বা বেসরকারি বিভিন্ন কোম্পানী, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে আমাদের এই সফটওয়্যারগুলো দিয়ে কাজ করতে হয়। মাইক্রোসফট (এম এস) অফিসের আরো বেশ কিছু সফটওয়্যার যেমনঃএম এস একসেস বা এই ধরণের আরো অনেক সফটওয়্যার থাকলেও এই তিনটি প্রধান সফটওয়্যারই সর্বক্ষেত্রে জনপ্রিয়।
মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মাধ্যমে সিভি বা কভার লেটার রাইটিং নতুন চাকুরি প্রত্যাশিতদের জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় কাজ। চাকুরি জীবনে প্রবেশের পূর্বে শিক্ষাজীবনেও কিন্তু ওয়ার্ড থাকে প্রত্যেক মানুষের নিত্য সংগী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন এসাইনমেন্ট, রিসার্চ পেপার , রিপোর্ট রাইটিং এর কাজ করার সময় ব্যবহার করে থাকেন এই সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারের ব্যবহারের ব্যপ্তি অনেক বেশি হওয়ায় এটি শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকদেরকেও বেঁধে ফেলেন একই বন্ধনে। শিক্ষকরা তাদের বিভিন্ন লেকচার শিট তৈরিতে ব্যবহার করেন এই সফটওয়্যার; পাশাপাশি পরীক্ষার প্রশ্ন-পত্র তৈরি ও নানবিধ অফিসিয়াল ডকুমেন্ট তৈরিতেও ওয়ার্ড সফটওয়্যারের স্বরণাপন্ন হন। আর চাকুরিতে প্রবেশের সাথে সাথেই সবারই ওয়ার্ড সফটওয়্যার এর সাথে শুরু হয় নিত্য পথচলা। বিভিন্ন অফিসিয়াল ডকুমেন্ট থেক শুরু করে বিজনেস রিপোর্ট রাইটিং সর্বক্ষেত্রেই এই সফটওয়্যারের উপর সবাই নির্ভর করেন চোখ বন্ধ করেই। ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, ব্যাংকার, ডাটা এনালিস্ট, সরকারি বা বেসরকারি সর্ব ধরণের কর্মকর্তা- সবাই একবিন্দুতে মিলিত হন এম এস ওয়ার্ডের ব্যবহারের ক্ষেত্রে। কর্মক্ষেত্রে কোম্পানীর বিভিন্ন লেটার , এনভেলাপ অনেক কর্মকর্তার কাছে কম সময়ে পাঠানোর জন্য সবাই ব্যবহার করেন মেইল মার্জ অপশন যা মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মেইলিং ট্যাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। পূর্বে যা ম্যানুয়েলি অনেক সময় নিয়ে বিভিন্ন কর্মকর্তার জন্য আলাদাভাবে টাইপ রাইটার দিয়ে টাইপ করে আলাদা এনভেলাপে করে অনেক সময় নিয়ে পাঠান লাগত-সেই ঝামেলার কাজটি বেশ সহজ করে দিয়েছে এম এস ওয়ার্ড।
অফিসিয়াল ডাটা ম্যানেজমেন্টের এক অপরিহার্য সফটওয়্যার হল এম এস এক্সেল। এমন কোন কোম্পানী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যারা তাদের ডাটা ট্র্যাকিং এর জন্য এক্সেলের স্বরণাপন্ন হচ্ছে না। কারণ, এক্সেলের বিকল্প কোন সহজ সফটওয়্যার নেই যা এত সুন্দরভাবে ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্টের এই কাজটি করতে পারবে। একাউন্টন্স, স্টোর, সাপ্লাই চেইন থেকে শুরু করে এইচ-আর পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রেই ডাটা স্টোর ও রেকর্ডের জন্য এক্সেলের ব্যবহার সর্বক্ষেত্রে বেশ লক্ষ্যণীয়। মাইক্রোসফট এক্সেলের সাহায্যে আমরা দৈনন্দিন হিসাব সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করতে পারি ও বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন করতে পারি। এছাড়াও ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় কাজ করতে পারি ও আয়কর ও অন্যান্য হিসাব-নিকাশ তৈরি করতে পারি। বৈজ্ঞানিক ক্যাল্কুলেশনের ক্ষেত্রেও কিন্তু ব্যাপক ভূমিকা রাখে এক্সেল এর ক্যালকুলেশন। এছাড়াও, বিভিন্ন অফিসের বেতন-বোনাসের হিসাব ও স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট প্রস্তুতকরণেও এক্সেল এর কোন বিকল্প তৈরি হয়নি এখনো। সায়েন্টিস্টরা তাদের গবেষণার যে বিশাল ডাটা বছরের পর বছর সংরক্ষণ করেন তার জন্যও নির্ভরতার এক নাম হল এক্সেল। ব্যাংক কর্মকর্তারা এক্সেলের স্ট্যাস্টিক্যাল ফাংশনগুলোর মাধ্যমে ব্যাংক লোনসহ ব্যাংকের যাবতীয় বিষয়াবলী হিসাব করে থাকেন।এছাড়াও, লজিক্যাল ফাংশনের মাধ্যমে শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারা খুব দ্রুত গ্রেড ভিত্তিক রেজাল্ট তৈরি করে থাকেন।বিভিন্ন কোম্পানীর বিপণ্ন বিভাগের কর্মকর্তারা সেলস ডাটা ব্যবহার করে ফোরকাস্টিং করার জন্য মাইক্রোসফট এক্সেলের সহায়তা নিয়ে থাকেন। এভাবেই, মাইক্রোসফট এক্সেল সফটওয়্যারটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে।
মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্টের ব্যবহার শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কর্মজীবি সবাই করে থাকেন। আর আপনি যদি কোন কোম্পানীর মার্কেটিং বিভাগের সদস্য হন তাহলে তো আর কথাই নেই। মার্কেটিং এর কর্মকর্তাদের জীবিকা অর্জনের অনেকটাই নির্ভর করে পাওয়ার পয়েন্টের দক্ষতার উপর। যে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে যত বেশি দক্ষতা প্রদর্শন করে ক্লায়েন্টের কাছে কোম্পানীর ব্র্যান্ড ইমেজ তুলে ধরতে পারেন, তার প্রমোশনও এই ফিল্ডে তত দ্রুত হয়। কারণ, প্রোডাক্ট যত ভালই হোক না কেন, তার বিক্রয়ের বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করে মার্কেটিং বিভাগের তৎপরতার উপর।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের পুরো শিক্ষাজীবনে বিভিন্ন বিষয়ে যে প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন, তা পুরোপুরি পাওয়ার পয়েন্ট নির্ভর। এমনকি থিসিস পেপার প্রেজেন্টেশনের জন্যও প্রয়োজন হয় পাওয়ার পয়েন্টে দক্ষতার। তাই, বলা যায় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য পাওয়ার পয়েন্টে দক্ষতার কোন বিকল্প নেই।
এক নজরে এই প্যাকেজে যা থাকছেঃ • ধারাবাহিক ১২৫ HD ভিডিও টিউটোরিয়াল, যা সব মিলিয়ে প্রায় ২২ ঘন্টার টিউটোরিয়াল! (৩ টি ডিভিডি) • টিউটোরিয়ালে ব্যবহৃত সকল অনুশীলন ফাইল • ২৪/৭ ঘন্টা অনলাইন সাপোর্ট সিস্টেম • সবগুলো টিউটোরিয়াল রেকর্ড করা হয়েছে আমাদের সাউন্ডপ্রুফ রেকর্ডিং স্টুডিওতে তাই পুরোপুরি নয়েজমুক্ত ক্রিস্টাল ক্লিয়ার সাউন্ড।
কেন নিবেন আমাদের এই টিউটোরিয়াল কোর্স? এই টিউটরিয়াল প্যাকেজে আমরা একদম নতুনদের জন্য সফটওয়্যারের প্রাথমিক ধারণা থেকে শুরু করে উচ্চতর ধাপ পর্যন্ত এর প্রায়োগিক বিষয়গুলোর ব্যপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।বাংলা টিউটোরিয়াল নির্মাণের জগতে আমাদের সফলতার উপর ভিত্তি করেই আমরা নিয়ে এসেছি বাংলায় তৈরি প্রথম সবচেয়ে বিস্তারিত মাইক্রোসফট অফিস ২০১৯ এর টিউটোরিয়াল।এর আগে কেউ এত বড় পরিসরে মাইক্রোসফট অফিস ২০১৯ নিয়ে বাংলা টিউটোরিয়াল তৈরি করেনি। আমাদের টিউটোরিয়াল অনুসরণ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হতে পেরেছেন। মাইক্রোসফট অফিস ২০১৯ এর দক্ষতা তাতে যুক্ত করবে এক নতুন মাত্রা। এই টিউটোরিয়াল্গুলো নির্মাণে আমরা সহায়তা নিয়েছি বিশ্বের সবচেয়ে দর্শক সমাদৃত টিউটোরিয়ালের, যা আমাদের কাজকে করেছে আরো সমৃদ্ধ।
এক নজরে দেখে নিই এই টিউটোরিয়াল কোর্স কাদের জন্যঃ শিক্ষক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ব্যবসায়ী একাউন্টস বিভাগের কর্মকর্তা মার্কেটিং বিভাগের কর্মকর্তা বুক পাবলিকেশন এর সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সরকারি চাকুরিজীবি বেসরকারি চাকুরিজীবি ইঞ্জিনিয়ার ডাক্তার ল্যাব এনালিস্ট রিসার্চার বিজনেস ডাটা এনালিস্ট এবার জেনে নিই এই কোর্সটি করে আপনি চাকরি বা অনলাইনে কি কি কাজ করতে পারবেনঃ
এক্সেল ব্যবহার করে অফিস ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট এক্সেল ডাটা ব্যবহার করে সেলস এনালাইসিস এক্সেল টেবল ও চার্ট ব্যবহার করে ডাটা এনালাইসিস এক্সেল ম্যাক্রোস ওয়ার্ড ডকুমেন্ট ডিটেইলস ডাটা এন্ট্রি ডাটা প্রসেসিং ডাটা আর্কিটেকচার বুক কিপিং ইমেইল হ্যান্ডেলিং পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন ডিটেইলস পাওয়ার পয়েন্ট ব্যবহার করে চার্ট ও ডাটা প্রেজেন্টেশন ইনফোগ্রাফিক ও পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড ডিজাইনিং অর্থাৎ এই কোর্সটি সম্পূর্ণরূপে শেষ করতে পারলে আপনি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড-এক্সেল-পাওয়ার পয়েন্টের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এক নজরে আমাদের মাইক্রোসফট এক্সেল-ওয়ার্ড-পাওয়ার পয়েন্ট কোর্স কন্টেন্টঃ
পর্ব ১০১ঃ পাওয়ার পয়েন্ট ২০১৯ এর ইউজার ইন্টারফেস পরিচিতি পর্ব ১০২ঃপাওয়ার পয়েন্ট থিম নিয়ে আলোচনা পর্ব ১০৩ঃথিম চেইঞ্জ করা ও স্লাইড মাস্টার নিয়ে আলোচনা পর্ব ১০৪ঃহেডার-ফুটার-বেকস্টেইজ ভিউ নিয়ে আলোচনা পর্ব ১০৫ঃ স্লাইড এড করা পর্ব ১০৬ঃ লেয়াউট চেইঞ্জ করা-সেকশন-রিএরেঞ্জ পর্ব ১০৭ঃ পিকচার এড করা-গাইড ব্যবহার করা পর্ব ১০৮ঃ পিকচার ফরমেট করা পর্ব ১০৯ঃঅব্জেক্ট লেয়ারিং-রিমোভ ব্যকগ্রাউন্ড পর্ব ১১০ঃ আই ড্রপার টুল ব্যবহার পর্ব ১১১ঃ বুলেটস-নাম্বারিং-আউটলাইন টেক্সট পর্ব ১১২ঃওয়ার্ড আর্ট-টেক্সট বক্স পর্ব ১১৩ঃ টেবলস পর্ব ১১৪ঃ এড শেইপস-ফরমেট শেইপস পর্ব ১১৫ঃ পিকচার ক্রপিং পর্ব ১১৬ঃচার্ট তৈরি করা পর্ব ১১৭ঃ স্মার্ট আর্ট-ইকুয়েশন পর্ব ১১৮ঃ ভিডিও-অডিও এড করা পর্ব ১১৯ঃ স্লাইড ট্রানজিশন- এনিমেশন পর্ব ১২০ঃ স্পিকার নোট-হ্যান্ডয়াউট-রিহার্স পর্ব ১২১ঃকমেন্ট এড করা পর্ব ১২২ঃ প্রেজেন্টার ভিউ পর্ব ১২৩ঃ সেইভ থিম-প্রিন্ট পর্ব ১২৪ঃসেইভ পাওয়ার পয়েন্ট এজ টেম্পলেট পর্ব ১২৫ঃ সেইভ পাওয়ার পয়েন্ট এজ পিডিএফ/জেপিজি ফরমেট পর্ব ১২৬ঃ মর্ফ এনিমেশন তৈরি পর্ব ১২৭ঃ মাইক্রোসফট অফিসের ফন্ট-পিকচার-আইকন প্রভৃতির সোর্স কন্টেন্ট
মোট কথা এই সবগুলো টিউটোরিয়াল দেখে শেষ করলে কর্মক্ষেত্রে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড-এক্সেল-পাওয়ার পয়েন্ট ২০১৯ এর ব্যবহার সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা পাওয়া যাবে। অর্থাৎ মাইক্রোসফট ওয়ার্ড-এক্সেল-পাওয়ার পয়েন্ট নিয়ে কখনো কোথাও আটকাতে হবে না। অনুগ্রহ করে ধৈর্য্য সহকারে টিউটোরিয়ালগুলো দেখবেন এবং প্রচুর অনুশীলন করবেন তাহলেই পাবেন সফলতা। নিশ্চিত হয়েই বলতে পারি বাংলায় এত বিস্তারিত গাইডলাইন সহ টিউটোরিয়াল আর কোথাও পাবেন না। আপনাদের উপকারে আসলেই আমাদের এই প্রচেষ্টা স্বার্থক হবে।আর আপনাদের যেকোন প্রয়োজনে আমরা তো পাশে আছিই !!
Specification:
Title:
Microsoft Office 2019 Bangla Video Tutorial Course