মূলত পূর্ণসংখ্যার কাঠামোবদ্ধ আলোচনা ও বিশ্লেষণ হচ্ছে এ বইয়ের মূল উপজীব্য। সংখ্যার আদি ইতিহাস থেকে আধুনিক সংখ্যাতত্ত্বের বিভিন্ন ধারণা এখানে শিক্ষার্থীদের বোধগম্যতার নিরিখে উপস্থাপন করা হয়েছে। সহজ থেকে ক্রমশ জটিলতায় উত্তরণ ঘটেছে। ছোট ছোট ধাপে। বুঝতে বুঝতে এবং বোঝাতে বোঝাতে। এখানেই “বুঝে করি” সিরিজের সার্থকতা। বিভাজ্যতা, সংখ্যা পাতন এবং উৎপাদকের মতো প্রাথমিক পর্যায়ের গাণিতিক ধারণাগুলো যেমন এ বইতে উঠে এসেছে, তারই ধারাবাহিকতায় এসেছে উচ্চতর গণিতের অয়লার-মবিয়াস-দিরিশ্লে-ফার্মার উপপাদ্যসমূহ। আলোচনাকে প্রাসঙ্গিক ও পূর্ণ করতে বাদ যায়নি জটিল সংখ্যা থেকে শুরু করে অনুসমতা পর্যন্ত প্রায় কোনোকিছুই। বাংলা বা ইংরেজী ভাষায় এযাবৎ লেখা সংখ্যাতত্ত্বের যতোগুলো বই আমি পড়েছি তার সাপেক্ষে বলতে পারি এ বইটির আলোচ্যসূচী সর্বাধিক বিস্তৃত। অন্য কোনো বইতে আমি এতোগুলো বিষয়ের গভীর বিশ্লে¬ষণ একসাথে পাইনি। তাই একে গণিতের পাঠ-সহায়ক বইয়ের জগতে একটি মৌলিক কাজ হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। সাথে বাড়তি পাওনা হিসেবে থাকছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড, অ্যামেরিকান ম্যাথ কনটেস্ট ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের প্রাসঙ্গিক সমস্যাগুলোর সমাধান। সৌমিত্র চক্রবর্তী একাডেমিক কাউন্সিলর, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি