‘মানবী’র ভূমিকাঃ জীবনের সঙ্গে মিশে থাকা প্রতিটা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় আইভীকে দেয় এক পরিপূর্ণ জীবনের উপলব্ধি। প্রতিটা সকালে দেখা ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র কোন সৃষ্টি অথবা প্রানের অস্তিত্ব আইভী উপভোগ করেন উচ্ছসিত মনে। এমন উপলব্ধি থেকে তিনি জীবনের স্বপ্নের মিশেলে লেখেন এক একটি উপন্যাস। উপন্যাস লেখার অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করলেও তিনি সাম্প্রতিক সময়ে প্রবন্ধ এবং কবিতা লিখছেন। এই সময়ে লেখা কিছু বাংলা এবং ইংরেজী কবিতা নিয়ে ‘মানবী’র প্রকাশ। Every small existence of this world makes her happy. She enjoys each single creation around her life. With this feeling Ivy loves to write novels and articles. On recent period she likes to write poems. “Manobi” is her first poetry book. মানবী বইয়ের সূচিঃ ১) মানবী ৭-৮ 2) A Cold Wind -9 3) Ocean or Sky? -10 ৪) ১৪ এপ্রিল ১৪২৫ 5) Happiness -12 ৬) তোমার চোখে -১৩ 7) O Winter!!! -14 ৮) প্রকাশ্য শত্রু – ১৫-১৬ ৯) স্বপ্নদীনতা-১৭ 10) Sitting-18-21 ১১) ধ্রুব- ২২-২৩ ১২) শাশ্বত-২৪ 13) Satiety - 25 14) In Quest of Dignity- 26-28 15) Emncipation -29 16) Race or Happiness? -30 ১৭) আমার আলোকবর্ষ -৩১ ১৮) আমি মানুষকেই ভালবাসি-৩২ ১৯) রংতুলি আর শব্দ -৩৩-৩৪ 20) The Desires- 35 ২১) সময়ের খেলা -৩৬-৩৮ 22) Manobi- 39-40
Jannatul Ferdous Ivy-র জন্ম ০১ জুলাই ১৯৭৬ খুলনা শহরের খালিশপুর এলাকায়। বাবা শরীফ জাফর আহমেদ সিদ্দিকী ও মা মরিয়ম সিদ্দিকীর প্রথম সন্তান। একমাত্র বোন লায়লাতুল ফেরদৌস সিলভী ও একমাত্র ভাই শরীফ মোঃ ঈসা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। শিশু ও কিশোর বয়স কেটেছে খুলনা শহরে। খুলনার খালিশপুর এলাকার এলিজাবেথ মার্বল প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষা পদ্ধতি আজ জীবনের শুরুর সময় থেকেই অসাম্প্রদায়িকতার ভিত গেঁথে দিয়েছে। বাবার চাকরি সূত্রে ১৯৯৪ সাল থেকে ঢাকায় বসবাস । ১৯৯৭ সনে এক অগ্নি দুর্ঘটনায় আইভীর ৬০% পুড়ে যায়। মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে উঠলেও তাঁর শারীরিক এবং মানসিক সংগ্রাম রয়ে যায় জীবনকাল ব্যাপী। পরিবারের সকলের পরম মানসিক শক্তিতে আবার জীবনের পথ চলতে শুরু করা। ২০০৫ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী সাহিত্যে এম,এ এবং ২০০৯ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়ন শিক্ষায় এম,এস পাস করেন। ২০১০ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট থেকে ২০১২ সালে সোশ্যাল কমপ্লায়েন্সে ডিপ্লোমা পাস করেন। এছাড়া তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণ ও ফটোগ্রাফি বিষয়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স করেন। আইভীর পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘উত্তরণ’ ও ‘নীরবে’ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। পেশাগত পরিচয়ে তিনি একজন মানবাধিকার কর্মী। বর্তমানে ভয়েজ এন্ড ভিউজ নামক মানবাধিকার সংস্থার নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কর্মরত। প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে উপন্যাস - স্বপ্ন নির্মাণ প্রয়াস (ইংরেজী অনুবাদ সহ), পোড়ামাটির রাজকন্যা (ইংরেজী অনুবাদ সহ) স্মৃতিকথাঃ ‘আহমদ ছফাঃ অপরাহ্ণের সূর্য’ এবং জেন্ডার বিশ্বকোষ-এর বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ। ‘সময়ের প্রতিচ্ছবি’ লেখকের প্রথম প্রবন্ধসংকলণ এবং “মানবী” আইভীর লেখা প্রথম কবিতা সংকলন।