"অবিনাশী অনুভূতি" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: মানুষ মাত্রই জীবনের প্রতিক্ষণে বহুমুখী অনুভূতির স্বাদ আস্বাদন করে। যদিও এই অনুভূতি অদৃশ্য কিন্তু এর ব্যাপকতা আমাদের জীবনের প্রবাহমান ঘটনাকে সর্বদা নিয়ন্ত্রিত করে। এই ঐশ্বরিক অনুভূতি যেমন সুখ দুঃখের হয়ে সারাজীবন স্মৃতিময় হয়ে থাকতে পারে তেমনি কিছু অনুভূতি হারিয়ে যায় স্মৃতি থেকে কালের গহীনে। স্মৃতিময় কিছু অনুভূতি হয়ে উঠে অমলিন ও অবিনাশী। প্রতিটি মানুষই এই অবিনাশী অনুভূতিগুলাে যুগ যুগ বহন করে কিন্তু ব্যক্ত করতে পারে না কিংবা ব্যক্ত করা হয়ে ওঠে না। সব মানুষেরই হয়তাে কখনাে কখনাে এই অনুভূতিগুলাে ভাবতে ভীষণ ভালাে লাগে আবার কখনাে ভাবলে মন খুব খারাপ থাকে। নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়। মাথাটা জাগতিক সব ভাবনা আর যন্ত্রনায় ভরে যায়। কিছু ভাল লাগে না আর। পড়া শুনার চাপ, কাজের চাপ, নিজের স্বপ্নগুলাে বাস্তবায়নের চাপ.. । দুশ্চিন্তা আর বহুবিধ চাপ জীবনকে বিষিয়ে তােলে। ইচ্ছে করে ছুটে পালিয়ে যাই। হারিয়ে যাই অনেক দূরে কোথাও। যেখানে কেউ চিনবে না, জানবে না। অবিরাম প্রশ্নবাণে জর্জরিত করবে না। যেখানে মানুষ কিছুটা শান্তি খুঁজে পাবে, নিজেকে কিছুটা সময় দিতে পারবে। আর এই ধরনের ভাবনার প্রয়াস থেকেই আমার এই কবিতাগুলাে লেখা হয়েছে । জীবনধর্মী এই কাব্যগ্রন্থটির নাম রেখেছি তাই ‘অবিনাশী অনুভূতি’। -লেখক