এদেশের ছেলেমেয়েরা এখন স্বপ্ন দেখে বিশ্ব জয়ের। সে ক্রিকেট কিংবা তীরন্দাজিতেই হােক, কিংবা গণিত অথবা পদার্থবিজ্ঞানে। আগামি প্রজন্মকে বিজ্ঞানে আগ্রহী করে তুলতে, বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী বা গণিতবিদদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যাতে চলতে পারে সেজন্য সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এদেশেও হরেক রকম বিজ্ঞান, গণিত ও প্রযুক্তিভিত্তিক অলিম্পিয়াডের আয়ােজন করা হচ্ছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে তুলে আনা হচ্ছে সত্যিকার মেধাবীদের। তারপর তাদের বাছাই করে পাঠানাে হচ্ছে। বিশ্বমঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে। গত কয়েক বছর ধরেই এদেশের গণিত ও বিজ্ঞানভিত্তিক অলিম্পিয়াডগুলাে বইছে বসন্তের হাওয়া। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক গণিতে প্রথম স্বর্ণপদক এসেছে, ২০১৯ এ এসেছে আন্তর্জাতিক রােবট অলিম্পিয়াড থেকে স্বর্ণপদক। ফিজিক্স অলিম্পিয়াডও পার করে ফেলেছে দশটি বছর। বায়ােলজি ও কেমিস্ট্রি অলিম্পিয়াডও ভালাে করছে। ঈর্ষণীয় সাফল্য এসেছে আন্তর্জাতিক জুনিয়র অলিম্পিয়াড থেকেও। এসব অলিম্পিয়াড যখন শুরু হয়, দেশব্যাপী কিশাের-তরুণদের মধ্যে সাড়া পড়ে যায়। উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয় ভেন্যগুলােতেও। আশার কথা হলাে, বড় বড় সব প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসে এসব অলিম্পিয়াডে পৃষ্ঠপােষকতা করছে। আজ যারা অলিম্পিয়াডে অংশ নিচ্ছে, একদিন এরাই হয়ে উঠবে দেশ-জাতির কাণ্ডারি, দেশ-জাতি যত সমস্যায় এখন নিমজ্জিত সেগুলাের সমাধান একদিন এরাই করবে। সে স্বপ্ন এখন দেখাই যায়। ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে যারা অংশ নেবে তাদের কথা ভেবেই, একঝাক সমস্যা ও সমাধান দিয়েই সাজানাে হয়েছে এই বই। সঙ্গে আছে সহজ ও বিস্তারিত ব্যাখ্যা। কিশাের-তরুণ ফিজিক্সপ্রেমী শিক্ষার্থীদের জন্য বইটি উপকার বয়ে নিয়ে আসবে।
Ajoy Chokroborti-এর জন্ম ২৫ ডিসেম্বর, ১৯৫২, উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে। পড়াশোনা ইছাপুরের নর্থল্যান্ড হাইস্কুলে; রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ. অনার্স ও এম.এ. পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণপদক লাভ। খেলাধুলায় ইউনিভার্সিটি ব্লু হন। দু বছর বয়সে সংগীতশিক্ষা শুরু পিতা শ্রীঅজিতকুমার চক্রবর্তীর কাছে। পরে পান্নালাল সামন্ত, কানাইদাস বৈরাগী, মুনব্বর আলি খান এবং জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের কাছে সংগীতশিক্ষা। ১৯৭৮-এ কলকাতায় সংগীত রিসার্চ অ্যাকাডেমি স্থাপিত হলে প্রথম স্কলাররূপে যোগদান এবং কয়েক বছরের মধ্যেই ওই সংস্থার গুরু এবং এক্সপার্ট কমিটির সদস্য পদে নির্বাচিত। এস.আর. এ-র প্রথম এবং একমাত্র স্বর্ণপদক প্রাপ্ত ফেলো। দেশে-বিদেশে বহু সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছেন। উল্লেখযোগ্য—১৯৮৯-তে চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ নেপথ্য গায়করূপে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার, ১৯৯৩-এ ‘কুমার গন্ধর্ব’ জাতীয় পুরস্কারের প্রথম প্রাপকের সম্মান। ১৯৮১ থেকে এ যাবৎ আমেরিকা, ইউরোপ এবং এশিয়ার নানা দেশে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ভারতীয় সংগীতের প্রসারে ব্যাপৃত। ১৯৯৭-তে আমেরিকার নিউ অর্লিয়ান্স শহরের সম্মানিত নাগরিকের স্বীকৃতিলাভ। বিবাহ ১৯৭৯ সালে। সহধর্মিণী শ্রীমতী চন্দনা প্রতিষ্ঠিত সংগীতশিল্পী। কন্যা কৌশিকী সম্ভাবনাময়ী সংগীতশিল্পী, পুত্র অনঞ্জন। লেখক ‘শ্রুতিনন্দন’ সংগীত শিক্ষায়তনের প্রতিষ্ঠাতা। দেশেবিদেশে তাঁর পঞ্চাশের বেশি ক্যাসেট, সি.ডি প্রকাশিত।