"প্রতিবেদন লিখন ও ভাষা-পরিকল্পনা" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: ভাষাচর্চার দুটি প্রায়ােগিক দিক আছে- মৌখিক ও লৈখিক। মৌখিক বা বাচনিক দিকের আবার রয়েছে নানা রকমফের- যেমন : উপস্থাপনা, ভাষণ, বক্তৃতা ইত্যাদি। তেমনি বৈচিত্র্য লেখ্যরূপেও- যেমন : আবেদনপত্র, নিমন্ত্রণপত্র, মানপত্র, স্মারকলিপি, প্রতিবেদন লিখন ইত্যাদি। তবে প্রতিবেদন’ই লৈখিক ক্ষেত্রে বর্তমানকালে সারাবিশ্বে সবচেয়ে বেশি চর্চিত ও কার্যকর প্রায়ােগিক মাধ্যম। আজকাল বহুবিধ কারণেই (ব্যক্তিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক, প্রাতিষ্ঠানিক এমনকি রাষ্ট্রীয়) আমরা অহরহ প্রতিবেদনের শরণাপন্ন হই। কিন্তু এ-সম্পর্কিত নিয়ম-কানুন। বিষয়ে আমাদের অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। গ্রন্থভুক্ত প্রথম প্রবন্ধে প্রতিবেদনের বিষয় ও লিখনপদ্ধতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলােকপাত করা হয়েছে। দ্বিতীয় প্রবন্ধে সংক্ষিপ্ত আলােকপাত করা হয়েছে আধুনিক সমাজ-ভাষাবিজ্ঞানের বিশেষ ক্ষেত্র ‘ভাষা-পরিকল্পনা সম্পর্কে। ভাষার অসচেতন প্রয়ােগ এবং ভাষাগত বিশৃঙ্খলা তথা অপপ্রয়ােগের বিপরীতে এই শৃঙ্খলা বর্তমানে একটি কার্যকর, পরিকল্পিত ও সচেতন প্রয়াস হিসেবে স্বীকৃত। ভাষা-পরিকল্পনার খুঁটিনাটি বিষয়সহ বাংলা ভাষার উন্নয়নকল্পে এই শৃঙ্খলায় আমাদের অগ্রগতি, বর্তমান অবস্থা ও করণীয় সম্পর্কে পর্যালােচনা স্থান। পেয়েছে আলােচ্য প্রবন্ধে।