পদ্মাসেতু বাংলাদেশের স্বপ্নের সেতু, গর্বের সেতু, বিজয়ের সোপান। উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থায়নে নির্মিতব্য এ সেতুর প্রাথমিক প্রস্তুতিমূলক কাজ বাস্তবায়নকালে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিশ্বব্যাংকের ইন্টিগ্রিটি বিভাগে দুর্নীতির অভিযোগ করে এই সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে। সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সচিবসহ সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বিতর্কিত করা হয়েছে। এ গ্রন্থের লেখক দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় প্রায় দুবছর কষ্টভোগ করেছেন, এমন কি জেলেও গিয়েছেন। অবশেষে সকল দুর্নীতির অভিযোগ দেশে-বিদেশে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ এখন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করছে। তাঁর দূরদর্শী পদক্ষেপ ও অটুট মনোবলের কারণে সারা বিশ্বে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম ও আত্নমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পদ্মাসেতু নির্মাণের শুরু থেকে একটি স্বার্থান্বেষী ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠি, বিশ্বব্যাংক এবং দেশের একশ্রেণীর সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম ভিত্তিহীন রটনা ও প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে সরকারের শীর্ষপর্যায়সহ মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্বিসহ কষ্ট দিয়েছে। এই বইয়ের লেখক তাঁর কার্যকালীন বাস্তব অভিজ্ঞতা, দুঃখ-কষ্ট ও দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র, মিডিয়ার প্রচারণা ইত্যাদি তার নিজস্ব সত্যভাষণের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। বইটি পদ্মাসেতুর উপর একটি তথ্যবহুল, নির্ভরযোগ্য প্রামাণ্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সচিব মােশাররফ। হােসেন ভূঁইয়ার পৈত্রিক নিবাস নরসিংদী জেলা ও সদর উপজেলার বালুসাইর গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮১ সালের ৩০ জানুয়ারি সরকারি চাকরিতে যােগদান করেন। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বৃত্তি নিয়ে ১৯৯১-৯২ সনে ম্যাসাচুসেটস্ অঙ্গরাজ্যের উইলিয়াম কলেজ থেকে উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। বাণিজ্য, শিক্ষা, পানি সম্পদ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে বিভিন্ন পদে কাজ করে ২০১০ সনের ফেব্রুয়ারি মাসে যােগাযােগ মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব পদের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। বর্তমানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সদস্য পদে কর্মরত।