“দুখু মিয়া (শিশুতোষ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য)" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ 'দুখু মিয়া' নামে কাগজে বাঁধানাে যে বইটি আপনার হাতে সেটি বই হবার কথাই ছিল না। কথা ছিল টিকেট কেটে সিনেমা হলের বড় পর্দায়। দর্শকেরা 'দুখু মিয়া' নামে একটা উপভােগ্য সিনেমা দেখবে। কবি নজরুলের বাল্য ও কৈশােরের ডানপিটে জীবনের প্রতিচ্ছবি পাবে। একথা ভেবেই চিত্রনাট্যের পিছনে সময়, শ্রম আর অর্থ বিনিয়ােগ করেছিলেন এক ভদ্রলােক। একাডেমিক গবেষক দিয়ে গবেষণা, পেশাদার চিত্রনাট্যকারের পরামর্শ কিছুই বাদ যায় নি। ঐতিহাসিক তথ্য আর শিল্পসম্মত নির্মাণ দুইয়ের দিকেই মনােযােগ দেওয়ার চেষ্টা ছিল। কিন্তু অভাব ছিল খুব ভারুরি একটা জিনিসের। অর্থ। যুতই অনর্থের মূল বলি আসলে তাে অর্থ। ছাড়া জীবন অর্থহীন। তিনি প্রডিউসার খুঁজে পাননি। শেষ ভরসা ছিল সরকারি অনুদান। হতে হতেও সেটি কীভাবে ছুটে গেল। ঢাকা শহরের এক কোণে নিজের সামান্য জমি ছিল বটে। কিন্তু মধ্যবিত্তের জন্য সেই এক চিলতে জমি নিজের স্বপ্নের জন্য বিসর্জন দেওয়া খুব বিবেচনাপ্রসূত হতাে না। এই গল্পটা প্রায় বছর বিশ আগের। সেই ভদ্রলােক এখন অবসরপ্রাপ্ত। সন্তানেরা দেশে এবং বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। সেই এক চিলতে জমির মধ্যবিত্তসুলভ মায়া ছেড়ে তাকেও উঠতে হয়েছে। আধুনিক ফ্ল্যাটে। এর মাঝে হারিয়েছেন আজীবন প্রেরণাদায়ী জীবনসঙ্গিনীকে। সব কিছুর মাঝেও আঁকড়ে ধরেছিলেন একটা চিত্রনাট্যের কপি। নাই বা। হলাে সিনেমা। কাগজে হাত বুলানােতেও সুখ। সেই চিত্রনাট্যই এবার বই হিসেবে পাঠকের কাছে উন্মুক্ত হচ্ছে।