"যন্ত্রকৌশলের যন্ত্রণা (Jontrokousholer Jontrona Book) " বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি তখন অদূর ভবিষ্যতে চাকুরির গতিবিধি বোঝার চেষ্টা করি। আবার যখন পাশ করে বের হই তখন 'প্রস্তুতি' শুরু করবো কীভাবে সেটা গুছিয়ে উঠতে পারি না। এভাবে হয়তো একটা সময় পৌঁছে যাই কোন এক ভাইভা বোর্ডের সামনে। যখন সদ্য পাশ করে বের হই তখন বুঝি না কিভাবে শুরু করবো। আবার কোন একটা চাকুরিতে থেকে অন্য একটা চাকুরির ভাইভা দিতে গেলে কি পড়তে হবে সেটা হয়তো বুঝতে পারি কিন্তু সময়ের অভাবে সব প্রশ্ন গুলোকে এক জায়গায় করতে পারি না। একটা অসম্পূর্ণতা থেকেই যায়। বাস্তব জীবনে এই উপলব্ধি থেকে আমার মনে হয়েছে এমন একটা বই হাতের কাছে থাকলে খুব ভালো হত যা অল্প সময়ে ভালো প্রস্তুতির সহায়ক হয়ে নিজের ভিতরে এক ধরনের সাহস সঞ্চার করবে। ভাইভার আগ মুহুর্তে মনের ভিতর উত্থিত প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে না পাওয়ার যেমন একটা টেনশন কাজ করে তেমনি কাজ করে কিছু না পড়ে যাওয়ার টেনশন। আসলে কিছু না পড়ে যাওয়ার চেয়ে বড় হয়ে দাঁড়ায় "কি পড়ে যাব?" এই প্রশ্ন। আশা করি এই রকম যন্ত্রণার খানিকটা হলেও লাঘব ঘটবে 'যন্ত্রকৌশলের যন্ত্রণা (Jontrokousholer Jontrona Book) বই'- এর মাধ্যমে। অনেকগুলো ভাইভার অভিজ্ঞতাকে বিশ্লেষণ করে প্রশ্নগুলো আনা হয়েছে। অনেক খুটিনাটি বিষয় নিয়ে পর্যবেক্ষণমূলক কিছু অনুচ্ছেদ যোগ করা হয়েছে। সবই দীর্ঘ সময় নিয়ে প্রয়োজনের তীব্রতার উপর গুরুত্বারোপ করেই সাজানো হয়েছে। সকল যন্ত্রকৌশলীদের প্রতি শুভ কামনা রইলো।
বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশলের বিভিন্ন বিষয়ে লেখাপড়া করা শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব করতে ও তাদের পড়াশোনার বিভিন্ন দিক সহজভাবে বুঝিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বই লিখেছেন এমরান হোসেন। তিনি নিজে একজন প্রকৌশলী, এবং তাই তিনি বোঝেন প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করতে একজন শিক্ষার্থীর কতটা অমানুষিক শ্রমের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। আর তাই তাদের পড়ালেখাকে সহজ করতে ইঞ্জিনিয়ারিং এর নানা দিক বুঝিয়ে দিয়ে তিনি রচনা করে যাচ্ছেন নানা বই, যা সাহায্য করে যাচ্ছে হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র-ছাত্রীকে। ১৯৯১ সালের ১৫ অক্টোবর এমরান হোসেন নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আয়েন উদ্দীন, যিনি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং তাঁর মা রেহেনা পারভীন হলেন একজন গৃহিণী। তাঁর শৈশব ও কৈশোর গ্রামেই অতিবাহিত হয় বিধায় তাঁর শিক্ষাজীবনের শুরুও সেখানেই। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠ গ্রামেই সম্পন্ন করে থানা সদরের সরকারি কলেজে তিনি ভর্তি হন এবং সেখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হন এবং ২০১৪ সালে এখান থেকেই স্নাতক পাশ করেন এবং একজন যন্ত্রপ্রকৌশলীতে পরিণত হন। এমরান হোসেন এর বই সমূহ মূলত ইংরেজি ভাষায় রচিত এবং বইগুলোতে তিনি তুলে ধরেছেন প্রকৌশল বিষয়ের মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ, যেগুলো পড়ে প্রকৌশলের শিক্ষার্থীগণ সহজেই বিষয়টি সম্পর্কে বুঝতে পারবেন এবং করতে পারবেন ভালো ফলাফল। এমরান হোসেন এর বই সমগ্র এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো 'Fundamentals of Mechanical Engineering', 'Engineers Cafe (Civil Engineering)', 'Engineers Cafe (Mechanical And Electrical Engineering), 'Mechanical Engineering Formula Guide' ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন প্রকৌশল ফর্মুলা বিষয়ক বই এবং যন্ত্রপ্রকৌশলের শিক্ষার্থীদের জন্য চাকরির সহায়ক বইও রচনা করেছেন৷ তাঁর রচিত বইগুলো সাহায্য করে যাচ্ছে এদেশের অসংখ্য ভবিষ্যৎ প্রকৌশলীকে। শিক্ষার্থীরা প্রকৌশলবিদ্যা রপ্ত করতে প্রতিনিয়তই দ্বারস্থ হচ্ছে তাঁর রচিত এসকল বইয়ের।