"অনলাইনে ক্লাস ও মিটিং পরিচালনা" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ বিভিন্ন কমিউনিকেশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে কয়েকজনের একটি গ্রুপ একসাথে ভিডিও যােগাযােগ বা কনফারেন্সিং করার সুযােগ থাকলেও অনেক বড় অর্থাৎ অনেক সংখ্যক লােক একসাথে কনফারেন্সিং করার সুযােগ ছিল না। কিন্তু জুম, গুগল মিট এর বদৌলতে এটি হয়েছে অনেক সহজ। করােনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রােধে গত ১৮ মার্চ থেকেই সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘােষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বাড়তে থাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটিও। তবে ছুটির কারণে শিক্ষার্থীরা যাতে কোনােভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং তাদের শিক্ষা জীবন যেনাে ব্যাহত না হয় সেজন্য ডিজিটাল প্লাটফর্মকে কাজে লাগানাের জন্য শিক্ষকদেরকে উৎসাহিত করা হয়। কিন্তু অনেকের পূর্বজ্ঞান না থাকায় ইচ্ছে থাকা স্বত্ত্বেও অনেকে সীমিত আকারে ভিডিও ক্লাস তৈরি করে সম্প্রচার করলেও লাইভ ক্লাস নিতে পারছেন না। বিষয়টি কঠিন কিছু না হলেও অনেকে কিভাবে শুরু করবেন বুঝতে পারছেন না। এতাে সহজ বিষয়ে বই লেখার গুরুত্ব অনুভব করিনি। কিন্তু নেটে গিয়ে দেখি এ ব্যাপারে অনেক বই রয়েছে। কিন্তু সে বইগুলাে বিষয়ভিত্তিক অর্থাৎ শুধু একটি নির্দিষ্ট প্রােগ্রাম যেমন-জুম নিয়ে বই। জুম ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হলেও এতে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এর ফ্রি ভার্সনে ৪০ মিনিটের বেশি সময় এবং ৫০ জনের বেশি অংশগ্রহণ করতে পারেন না। কিন্তু গুগলমিটে অনেকে আনলিমিটেড সময় ক্লাস বা মিটিং পরিচালনা করা যায়। জনপ্রিয় এসব কমিউনিকেশন প্রােগ্রামগুলাের বর্ণনা একসাথে পাওয়া যাবে এ বইয়ে। সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষকদের অনুরােধের প্রেক্ষিতে করােনার লকডাউন অবস্থায় লেখা হয়েছে এ বই। আশা করি এ বইটি অনেক উপকারে আসবে।
বাংলা ভাষায় আইসিটি বিষয়ক প্রকাশনার অগ্রদূত মাহবুবুর রহমান, এ পর্যন্ত বই লিখেছেন ১০৮টি। বাংলাদেশে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ১৯৯২ সাল থেকে নিবেদিতভাবে তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে লিখে চলেছেন। দেশে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবে আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইন্সটিটিউট কর্তৃক ‘ওয়ার্ল্ড হুজ হু’ এর নবম সংস্করণে তাঁর জীবনী প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর লেখা বই বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলা ভাষাভাষীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ার বিখ্যাত পাবলিক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া পাহাং (ইউএমপি)-তে পিএইচডি গবেষক হিসেবে কাজ করছেন।