"বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ" বইয়ের ভূমিকার লেখা: সুন্দর পরিকল্পনা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা যে কোন কাজকে সাফল্যের চুড়ায় যেমনি আহরণ করতে পারে, তেমনি অপরদিকে পরিকল্পনাবিহীন ও ঢিলেঢালা ব্যবস্থাপনাতে যে কোন কাজ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে। অল্পকথায় বলা যায়, একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর ব্যবস্থাপনা নির্ভর করে একটি সুনির্দিষ্ট ও সার্বিক পরিকল্পনার উপর। আর তার জন্য মৎস্যচাষে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও সঠিক ব্যবস্থাপনা হচ্ছে সাফল্যের জন্য অন্যতম মৌলিক শর্ত। বিগত প্রায় এক দশক ধরে বাংলাদেশের মৎস্য চাষের সামগ্রিক সাফল্যের অন্যতম কারণ হচ্ছে দেশের প্রাচীন (Traditional) চাষ পদ্ধতির সাথে আধুনিক (Modern) পদ্ধতির একত্রীকরণে যেই ‘Modern-Traditional Aquaculture system’ তার জনপ্রিয়তা ও চর্চা। যাকে অনেক চাষী ও সাধারণ লােকজন লাভজনক মাছ চাষ পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করছেন। দেশের চিংড়ি সেক্টরে Semi-Intensive (আধা-নিবিড়) পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরেই বাণিজ্যিকভাবে সাফল্যের সাথে চলমান। এছাড়াও Recirculatory Aquaculture System (RAS), Intensive (farty) piCTIUP (Biofloc) পদ্ধতিসহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক মাছ চাষ প্রযুক্তির প্রচলনে দিনদিন মৎস্য সেক্টর বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। -এম. রুহুল কুদ্দুস সরদার।