মার্কেটিং আর ক্রিয়েটিভিটি একসূত্রে গাঁথা। তবু আমরা অজানা কারণে আইডিয়া কপি পেষ্ট করতে পছন্দ করি। এর কারণ প্রধানত ২টি। কেউ কেউ রয়েছেন যারা নতুন আইডিয়া খুঁজে পান না। একদল রয়েছেন যারা নতুন আইডিয়ার উপর ভরসা রাখতে পারেন না। ভয় পান বা আত্ম বিশ্বাসের অভাব বোধ করেন যদি আইডিয়া ফেল করে? এই বইতে এই দুটো দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে প্রথমত কিভাবে আপনি নতুন আইডিয়া খুজে পাবেন বা তৈরী করতে পারবেন। দ্বিতীয়ত কিভাবে আত্মবিশ্বাসের সাথে নতুন আইডিয়া প্রয়োগ করতে পারবেন। এছাড়া সৃজনশীলতার নানাদিক, মার্কেটিং এর প্রাথমিক ধারণা, ডিজিটাল মার্কেটিং ও ফেসবুক মার্কেটিং আইডিয়া সেইসাথে ইমোশনাল মার্কেটিং, গেরিলা মার্কেটিং, ভাইরাল মার্কেটিং, দি বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ এ্যপ্রোচ, বিজনেস কনটেন্ট, ননপ্যারালাল মার্কেটিং, গ্রোথ হ্যাকিং ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ধারণা দেয়া হয়েছে। রয়েছে বিষয়ভিত্তিক ছবি, তথ্য ও বিশ্লেষণ। এই বইটি নবীন, একক, ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যেক্তাদের কাজে লাগবে। কাজে লাগবে যারা সেলস মার্কেটিং, বিজনেস ডেভলপমেন্ট ইত্যাদি সেক্টরে কাজ করেন, বিজ্ঞাপনী সংস্থার কর্মীদের কথাতো বলাই বাহুল্য। এছাড়া বিজনেস ও মার্কেটিং অনুষদের ছাত্রদের জন্য এই বইতে কিছুনা কিছু নতুন থাকবেই।
অস্টম শ্রেণী ছাত্র থাকা অবস্থায় তার লেখা জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ছাত্রজীবন থেকে তিনি লেখালেখি, বিতর্কসহ বিভিন্ন বিষয়ে বহু পুরষ্কার পেয়ে আসছেন। দেশের প্রায় সব পত্রিকায় তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। প্রথমে রম্য লিখলেও পরে তিনি জীবনমুখী লেখনীতে মনোনিবেশ করেন। এযাবত বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে তার হাজারের বেশী লেখা রয়েছে। এগুলো আত্মগঠন, ব্যবসা বাণিজ্য, পর্যটন ও লোকসাহিত্য নিয়ে। বিষয় বস্তুর নির্বাচন ও নিজস্ব বর্ণনাভঙ্গি তাকে ‘‘জীবনমুখী লেখক’’ হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। মজা করে লিখতে পারেন বলে তার লেখা পাঠক শুরু থেকে শেষ অবধি পাঠ করেন। তার লেখায় থাকে গল্পময়তার ছাপ। বাংলাভাষায় কর্মাশিয়াল কনটেন্ট লেখনিতে তিনি একজন পথিকৃত। অনলাইনে তার ই-কমার্স ও আত্ম উন্নয়নমুলক লেখাসমূহ পাঠকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডেও রয়েছে তার সরব উপস্থিতি। ২০১৬ সালে পায়ে হেঁটে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ ভ্রমণ করেন। ৪৬ দিনে ১১৭৬ কিলোমিটারের এই পদযাত্রা নিয়ে রচনা করেন অন্যরকম ভ্রমণকাহিনী ‘‘দেখব বাংলাদেশ গড় বাংলাদেশ’’। ২০১৭ সালে তিনি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন এর বিবেচনায় দেশের ৪০ জন প্রশংসিত ব্যক্তির একজন নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে দেশের প্রথম ই-কমার্স সামিটে তিনি দেশ সেরা ই-কমার্স কনটেন্ট রাইটার পুরষ্কার জিতেন।
বাংলাদেশের বাস্তব প্রেক্ষাপটে লেখা তার আত্ম -উন্নয়নমূলক লেখনী তরুনদের উপলব্দির জায়গায় স্পর্শ করে। তার বিভিন্ন লেখায় অনলাইনে পাঠকের উচ্চসিত মতামত সেকথাই বলে।
একসময় রাখালী নামে একটি লোকসাহিত্যের ছোট কাগজ সম্পাদনা করতেন। লেখাপড়া করেছেন ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। জাহাঙ্গীর আলম শোভনের জন্ম ফেনী জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলায় মামাবাড়িতে। পৈত্রিক নিবাস নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। এখানেই কাটান শৈশব কৈশর। বর্তমান স্থায়ী নিবার ফেনী জেলায় হলেও কিন্তু কর্মসূত্রে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন। জাহাঙ্গীর আলম শোভনের বাবা একজন অসবরপ্রাপ্ত সরকারী চাকুরে আর মা গৃহিনী।