ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে অনার্স-মাস্টার্স করে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন এটিএম নজরুল ইসলাম। এরপর প্যারিস, লন্ডন, রেঙ্গুন, অটোয়া, কলম্বো, দোহা, আংকারা এবং ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদে সরকারি দায়িত্ব পালন করেন এবং অবশেষে সচিব হিসেবে অবসর নেন ২০০৭ সালে। দীর্ঘ পঁয়ত্রিশটি বছর কাটিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে। স্বাধীনতার পরপরই একটি নতুন দেশের পররাষ্ট্রনীতি ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের নানা দিক নিয়ে রয়েছে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতার নির্যাসই এই গ্রন্থ । অনেক কিছু বলতে চেয়েছেন, অনেক কিছু বলা যায় না বলে বলেননি। ফরেন সার্ভিসের অনেক অজানা কথাও উঠে এসেছে এখানে। বিদেশে একটি দেশের ভাবমূর্তি অনেকখানি নির্ভর করে ফরেন সার্ভিসের সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের কর্মকাণ্ডের উপর । সেইসব বিষয়ে তিনি যেমন আলোচনা করেছেন, তেমনি দেশ থেকে বিদেশে যাওয়া মন্ত্রীসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নানা দিক নিয়েও আলোচনা করেছেন । ক্ষুদ্র বিষয় থেকে বড় বিষয়ও উঠে এসেছে তাতে। অম্ল-মধুর সেইসব অভিজ্ঞতা তিনি পাঠকের সাথে বিনিময় করেছেন ।
এ টি এম নজরুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত স্পেশাল সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীণ হয়ে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত তিনি ফ্রান্সে ফরাসি ভাষা ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস: লন্ডন, রেঙ্গুন, অটোয়া ও কলম্বোতে বিভিন্ন পদে চাকরি করেন। রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি কাতার, তুরস্ক, আজারবাইজান, বুলগেরিয়া, মলদোভাতে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫-২০০৬ সালে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জনাব নজরুল ইসলাম সঙ্গীত-গুরু সোহ্রাব হোসেনের কন্যা সঙ্গীতশিল্পী রওশন আরা সোমার সাথে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দু'ছেলে ও এক মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়ন ও চাকুরিরত।