"ম্যাথ টিউটর (গণিত শেখার গৃহশিক্ষক)"বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: ৫ টি জরুরি পরামর্শ ১.আপনি যদি সত্যিকার অর্থে MATH TUTOR পড়ে গণিত শিখতে চান, তাহলে পাটিগণিত পড়ার সময় পাটিগণিতের অধ্যায়গুলাে ক্রমানুসারে পড়বেন। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই একটি অধ্যায়ের সাথে অন্য এক বা একাধিক অধ্যায়ের বেসিক ও মূল্য তথ্যগত সম্পর্ক থাকে। এক্ষেত্রে প্রথম অধ্যায়ের বেসিক মিস করলে পরের অধ্যায়গুলাে আপনার কাছে কঠিন মনে হতে পারে অথবা আপনি গণিত শেখার সত্যিকার মজাটা খুঁজে পাবেন না। আমরা অধ্যায়গুলাে এমনভাবে বিন্যস্ত করেছি, ক্রমান্বয়ে পড়লে আপনার কাছে কঠিন মনে হবে না। আপনি একটি সিঁড়ি বেয়ে সহজেই উপরে উঠে যেতে পারবেন। ২.প্রতিটি অধ্যায় পড়া শুরু করার সময় একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হচ্ছে যে অধ্যায় পড়া শুরু করবেন ঐ অধ্যায়ের প্রথম বর্ণ থেকে পড়া শুরু করবেন। মনে রাখবেন আমরা প্রতিটি শব্দে, বাক্যে অসাধারণ সব বেসিক যুক্ত করেছি। ধরুন আপনি একটা অংশ বাদ দিয়ে পড়া শুরু করলেন, দেখা গেল যে ঐ অধ্যায়ের মূল বেসিকটাই আপনি বাদ দিয়ে দিয়েছেন। ফলাফল ঐ অধ্যায়টি পড়ে আর মজা পাবেন না, সব গণিত কঠিন লাগতে শুরু করবে। আমাদের আসল নসিহত হচ্ছে, আপনি গণিতে দুর্বল হলে বইয়ের একটি লাইনও মিস করবেন না। ৩.প্রথমবার বিস্তারিত পড়ার পর আপনার বেসিক clear হয়ে যাবে, পরে আর বিস্তারিত পড়তে হবে না। আমরা প্রতিটি টপিক সাজানাের সময় একটি দারুণ বিন্যাস অনুসরণ করেছি। সেটি হচ্ছে বেসিক নিয়ে আলােচনার মাঝেই আপনাকে ধাপে ধাপে শর্টকাট আলােচনায় নিয়ে যাওয়া হবে। আপনি হয়ত টেরও পাবেন না, আপনি কখন শর্টকাট আলােচনার জগতে প্রবেশ করেছেন। আলােচনা শেষে আপনার মাঝে একটি অন্য রকম মেথড ঘুরপাক খাবে, যাকে আমরা শর্টকাট মেথড বলছি। এই শর্টকাট মেথড তথাকথিত শর্টকাট নয়, বেসিক থেকে শর্টকাট! ৪.MathTutor বইয়ের অভিনব সংযােজন হচ্ছে জেনে নিন’ অংশ। এই অংশে আমরা প্রতিটি নতুন সমস্যার বেসিক নিয়ে কথা বলেছি। যারা গণিতে দুর্বল তাদের জন্য এই অংশ এন্টিবায়ােটিকের মত কাজ করবে। তাই এই অংশ মিস যাবে না, অবশ্যই অবশ্যই পড়বেন। ৫.পরিশেষে প্রতিটি অধ্যায় পড়ার একটি সহজ গাইডলাইন হচ্ছে- প্রথমে ‘বেসিক , এমসিকিউ ও লিখিত আলােচনা অংশ পড়ন, তারপর বাের্ড বই ভিত্তিক আলােচনা পড়ুন এবং এবং সবার শেষে ‘শুধু লিখিত আলােচনা পড়ুন।