ক্রিকেট বিশ্বে কিছু বর্নিল চরিত্র আছে। এরা একটা সময় কোন দেশের গন্ডিতে আবদ্ধ না থেকে হয়ে যান সর্বজনীন। উদাহরন হিসেবে বললে বলা যায় শ্যেন ওয়ার্ন, ক্রিস গেইল এর কথা। এই দুজন ক্রিকেটের বর্নিল অ্যাম্বাসেডর। এরা তো গেলো উপমহাদেশের বাইরের ক্রিকেটার। উপমহাদেশের কথা হিসেব করলে কে কে আছেন এই দলে? নিঃসন্দেহে শহীদ আফ্রিদি আছেন। মাত্র ১৭ বছরে জাতীয় দলে ঢুকেই দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৭ বলে সেঞ্চুরি। সাল ১৯৯৬। ছিলোনা টোয়েন্টি টোয়েন্টি ফরম্যাট। তাতেও ঐ খুনে মেজাজের ব্যাটিং। অথচ দলে তার অন্তর্ভুক্তি বোলার হিসেবে, যে জোরের উপর গুগলি আর লেগ ব্রেক বল করতে পারে। জাতিতে পাঠান, সুঠাম শরীর এবং সুদর্শন হবার কারনে নারীকূলের চোখে পরতে সময় লাগেনি একেবারেই, কিন্তু তার দেশের অন্যান্য খেলোয়াড়দের মতো নারী নিয়ে স্ক্যান্ডাল নেই গোটা ক্যারিয়ারে। এদিকে বোলার হিসেবে এসে ব্যাটসম্যান খ্যাতি। দলে স্থায়ী জায়গা হয়নি ঠিকঠাক কিন্তু আবার হয়েছেন দলের অধিনায়ক। বারবার অবসর এবং ফিরে আসা, ইনকনসিস্টেন্সির চূড়ান্ত, বলকে আপেলের মতো কামড়ে, পিচ নষ্ট করে, বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের সাথে মাঠেই ঝগড়া এইসব ছিলো নিত্য কর্ম এবং এসব নিয়েই সারা ক্যারিয়ার জুড়ে জন্ম দিয়েছেন প্রবল সব বিতর্কের কিন্তু যে কাজটির জন্যে তার দল কুখ্যাত, সেই ফিক্সিং বা বেটিং এ তার নাম আসেনি কখনোই। বিষয়টা অবাক করার মতো। এখন খেলে বেড়াচ্ছেন টোয়েন্টি টোয়েন্টির প্রায় সব দেশের টূর্নামেন্ট, বিভিন্ন দলের হয়ে। ২০ ওভারের ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা আফ্রিদি। দেশ বা জাতি হিসেবে না, জানতে চেয়েছি ক্রিজে যেরকম ভয়ডরহীন, সপাটে খেলা আফ্রিদি সেই কথাবার্তা কি তার আত্মজীবনীতেও লিখেছেন?