যাদের জীবনে অনেক দায়িত্ব। শৈশবকাল থেকেই তার সেই দায়িত্ব শুরু হয়ে যায়। কৈশোরের চৌকাঠে পা দিলেই বাবার বাড়ির সংসার গুছানোর দায়িত্ব চেপে বসে কাঁধে। তারপর বয়স হলে বিয়ে, বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি বা নিজের সংসার। স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকদের নিয়ে গড়ে ওঠে আরেকটি নতুন জীবন। এরই মাঝে কোল জুড়ে আসে এক চিলতে মায়া। সন্তানকে মানুষ করার ঝোঁক তখন চেপে বসে মাথায়। অনেক দায়িত্ব! আর সেই নারী যদি হয় আল্লাহর মনোনীত দ্বীনের প্রকৃত অনুসারী, তাহলে তো তার দায়িত্ব বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সাথে যুক্ত হয় জবাব্দিহিতার ভয়। আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা, স্বামীকে খুশি রাখা, নিজেকে পর পুরুষের দৃষ্টি থেকে হেফাযত করা, সন্তানদের দ্বীনি পরিবেশ দেয়া, চারপাশের মানুষগুলোকে দ্বীনের পথে আহ্বান করা, একবিংশ শতাব্দীর বড় বড় ফিতনাগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাওয়া...আরও কত কি!
আল্লাহ সুব. তাআলা পবিত্রতা পছন্দ করেন। সেই পবিত্রতা দেহের, সেই পবিত্রতা আত্মার। একজন মুসলিমাহ নিজের দেহ, পোশাক, সৌন্দর্য, চরিত্র, আখলাক সবকিছুই পবিত্র রাখবে, কলুষিত হতে দিবে না। তারাই তো ‘মুহস্বানাত’, তাবৎ দুনিয়ার সবচেয়ে দামী সম্পদ।