“রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সকাল সন্ধ্যার দু’আ ও যিকর এবং দোয়ার কার্ড” বইটির ভুমিকা: মহান আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহে রাসূলুল্লাহ -এর সকাল-সন্ধ্যার দুআ ও যিকর পুস্তিকাটির অষ্টম সংস্করণ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে, আলহামদু লিল্লাহ। এই পুস্তিকায় বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত সকাল-সন্ধ্যার বিভিন্ন দু'আ ও যির সংকলনের চেষ্টা করেছি। কিছু কিছু দু'আ বা যিকর ব্যাপকভাবে পরিচিত হওয়া সত্ত্বেও গ্রহণযােগ্যতা নিয়ে মুহাদ্দিসগণের বিস্তর আপত্তি থাকায় সেগুলাে এখানে আনা হয়নি। যেসব দু'আর বিশুদ্ধতা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে, সেসবের মধ্যে শুদ্ধতার পাল্লা ভারি অথবা মােটামুটি গ্রহণযােগ্য- এমন কিছু দু'আ এখানে উল্লেখ করেছি। কোন ভাষার যথার্থ উচ্চারণ অন্য ভাষার অক্ষর দিয়ে সম্ভব নয়; বরং সেক্ষেত্রে বিকৃতির আশংকাই বেশি থাকে। যাদের সরাসরি আরবী পড়তে কষ্ট হয় তাদের নিছক সহায়তার জন্য বাংলা উচ্চারণ দিয়েছি। সুতরাং বাংলা উচ্চারণের ওপর নির্ভর না করে মূল আরবী উচ্চারণ শিখে নেওয়ার অনুরােধ থাকল। আরবী বর্ণ ৫ এবং বুঝানাের জন্য উর্ধ্ব কমা (*) এবং মাদ বােঝানাের জন্য (-) ব্যবহার করা হয়েছে। মাসনুন দুআ ও যিকরের ক্ষেত্রে অনেক সময় বর্ণনাভেদে দুয়েকটি শব্দ বা বাক্যে কিছুটা ভিন্নতা দেখা যায়; যদিও মূলভাষ্য প্রায় একই থাকে। সুতরাং এক সংকলনের সাথে অন্য সংকলনের সামান্য ভিন্নতায় | কোনটিকে ভুল মনে করা আবশ্যক নয়। আমি প্রতিটি দু'আ মূলগ্রন্থ থেকে নির্বাচন করেছি। তারপরও কোন ভুল-ব্যত্যয় আমাদের গােচরে আনলে পরবর্তী সংস্করণে সংশােধন করে নেবাে ইনশা-আল্লাহ। টীকার ক্ষেত্রে শামেলা’ বলতে ‘মাকতাবায়ে শামেলা’ বােঝানাে হয়েছে। আর ই.ফা. বলতে ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন’ বােঝানাে হয়েছে। আর যেখানে কোন কিছু উল্লেখ নেই সেখানে শামেলা’ উদ্দেশ্য। মহান আল্লাহ আমাদের সবার সব ভালাে প্রচেষ্টা কবুল করুন। আমিন। আহমাদুল্লাহ
Title
রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সকাল সন্ধ্যার দু’আ ও যিকর এবং দোয়ার কার্ড
শায়খ আহমাদুল্লাহ একজন সুপরিচিত ইসলামী বক্তা। তিনি ১৯৮১ সালের ১৫ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুরের বশিকপুরে জন্মগ্রহণ করেন।প্রাথমিক শিক্ষা বশিকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি হন। কয়েক বছর নোয়াখালীর কয়েকটি মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করার পর তিনি হাতিয়ার ফয়জুল উলূম মাদ্রাসায় ভর্তি হন। সেখানে কিংবদন্তি আলেম দ্বীন মুফতি সাইফুল ইসলাম (রহ.)-এর সান্নিধ্য ও ছাত্রত্ব লাভের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এরপর দেশের বৃহত্তম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরায় ভর্তি হন। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) (সানুবিয়া) উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ১০ তম স্থান, স্নাতক (ফজিলত) ৩য় স্থান এবং ২০০১ দাওরায়ে হাদীসে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ২য় স্থান অর্জন করেছে। দাওরায় হাদিস শেষ করে খুলনা দারুল উলূম থেকে ইফতা সম্পন্ন করেন। তিনি একজন ইসলামিক স্কলার যিনি কোরআন ও হাদিস নিয়ে গবেষণা করেন। শায়খ আহমাদুল্লাহ বিভিন্ন বিষয়ে শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করে ইসলামী সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর কাজগুলি ইসলামী বিশ্বাসের প্রতি তাঁর দক্ষতা এবং নিবেদন প্রদর্শন করে। তিনি ইসলামী সম্প্রদায়ের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন এবং তার কাজের মাধ্যমে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার বিস্তার চালিয়ে যাচ্ছেন।