ফ্ল্যাপের লেখাঃ এই বইটি মূলত প্রোফেশনাল মার্কেটারদের জন্য না, বইটি মূলত উদ্যোক্তাদের উদেশ্য করে লেখা। এখন অনেকেই নিজের বিজনেসের অ্যাড নিজেই দিতে চান, কিন্তু "Boost post" থেকে অ্যাড দেন, সে কারনে তারা অনেক বিস্তারিত এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার জানতে পারেন না, যেমন, ফেসবুকের অ্যাড অবজেকটিভ এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যাড টাইপ এর ব্যাপারগুলো এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অ্যাড টার্গেটিং এর অনেক কিছুই। তাই আমি বিস্তারিত ভাবে লেখার চেস্টা করেছি সঠিক ভাবে অ্যাড অবজেকটিভ বুঝে, অ্যাডের টাইপ বুঝে, সঠিক টার্গেটিং এর মাধ্যমে কিভাবে একজন অ্যাডভারটাইজার অ্যাড ম্যানাজার থেকে অ্যাড দিবেন। এ ছাড়াও ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ে আরো কিছু লেখা রয়েছে এই বইয়ে, এর সাথে অন্য মার্কেটিং সাইট যেমন ইউটিউব, গুগল, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, পিন্টারেস্ট নিয়েও এখানে লেখার চেস্টা করেছি। ব্র্যান্ডিং নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে আপনার বিজনেসকে সহজে ব্র্যান্ড করা যায়। অনলাইন বিজনেস ও মার্কেটিং ১. কিভাবে আপনি অনলাইনে বিজনেস শুরু করবেন (স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন) ২. কেন একটা এফ কমার্স বিজনেস ফেইল করে- কিছু প্রধান কারন ৩. অনলাইন বিজনেসে কেন আপনি টাকা খরচ করবেন এবং কিভাবে করবেন ৪. বিজনেস শুরু করার আগে আপনাকে যে জিনিসগুলা জানতে হবে ৫.আপনার বিজনেসের কাস্টোমার কেয়ার সার্ভিস আরো উন্নত হবে কিভাবে? ৬. কিভাবে সঠিক অ্যাড অব্জেক্টেভ নির্বাচন করবেন ৭. বিভিন্ন রকমের ফেসবুক অ্যাডের সাথে পরিচয় ৮. কিভাবে আপনি ফেসবুকে একটি অ্যাড দিবেন (ছবি সহ,শুরু থেকে শেষ) ৯. সঠিক ভাবে অ্যাড টার্গেটিং এর মাধ্যমে ফেসবুক অ্যাডের পারফর্মেন্স বাড়ান ১০.কিভাবে সেলস ফানেল অ্যাড তৈরি করবেন ১১. ফেসবুকে বেশি বেশি লাইক, কমেন্ট শেয়ার, রিচ আনার উপায় ১২.ফেসবুক অ্যাডের কিছু ভুল এবং সমাধান ১৩.কিভাবে অ্যাডের খরচ কমবে, সেল বাড়বে ১৪. কিছু আনকমন পদ্ধতিতে পেজের লাইক বাড়ান ১৫. কি কি কারনে আপনার পেজ ব্যান অথবা রেস্টিক্টেড হতে পারে (কিছু কমন কারন) ১৬. যে ৫টি কারনে অ্যাড একাউন্ট ডিজাবল হয়ে যেতে পারে এবং করনিয় কি হবে। ১৭. জেনে নিন অ্যাড রিজেক্ট হবার অজানা কারন। ১৮. ইউটিউবে কিভাবে সেল করবেন আপনার প্রডাক্ট অথবা সার্ভিস ১৯. ইউটিউব মার্কেটিং কিভাবে করবেন(কমপ্লিট গাইড) ২০. ইন্সটাগ্রামে কিভাবে আপনার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস মার্কেটিং করবেন ২১. গুগলে কিভাবে আপনার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস সেল করবেন ২২. টুইটার, পিন্টারেস্ট মার্কেটিং আলোচনা। ব্র্যান্ডিং: ১. বিজনেস ব্র্যান্ডিং কি? বেসিক ধারনা ২. অনলাইন বিজনেসে ব্র্যান্ডিং এর গুরুত্ব ৩. নিজের কোম্পানি কে বাজেটের মধ্যে কিভাবে ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলবেন ৪. কিভাবে আপনার পার্সোনাল ব্র্যান্ডকে করপোরেট, প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের সাথে যুক্ত করবেন ৫. এখনই সময় আপনার ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য ব্র্যান্ড পরিচিতি তৈরি করার।
মোঃ আরিফুল ইসলাম ঢাকা মহানগরীতে ১৯৮৬ সালে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবা মরহুম শাহজাহান মিয়া এবং মা শিরিন আক্তার। তার পিতা সরকারি কলেজে ইংরেজী বিষয়ে অধ্যাপনা করতেন। মোঃ আরিফুল ইসলামের কম্পিউটারে হাতেখড়ি হয় ২০০১ সালে। তিনি ২০০৩ সালে NIIT থেকে গ্রাফিক ডিজাইন এবং ২০০৬ সালে BCL Computer থেকে ওয়েব ডিজাইন কোর্স করেন । বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি ২০০৮ সালে ভিডিও এডিটিং এর উপরও দক্ষতা অর্জিত হয় তার। ২০১০ সাল থেকে গ্রাফিক ডিজাইনের উপর তার পেশাগত জীবন শুরু হয়, লেখক মূলত গ্রাফিক ডিজাইন প্রশিক্ষক হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেছেন। ২০১৫ সালের দিকে লেখক চিন্তা করেন যেহেতু তার আইটি সেক্টরের বিভিন্ন ফিল্ডে কিছুটা দক্ষতা আছে এবং সেটা ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য আদর্শ সেহেতু তিনি গ্রাফিক ডিজাইনের পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর প্রশিক্ষণ গ্রহন করে কাজ শুরু করেন। ২০১৬ সাল থেকে মোঃ আরিফুল ইসলাম ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এ তার কাজের জায়গা মূলত ফেসবুক মার্কেটিং এবং কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট। গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং এর উপর তার অভিজ্ঞতা থাকায় কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্টের কাজটি তিনি নিজেই করে থাকেন। এছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যান্য ফিল্ড যেমন সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন, ইউটিউব মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং এর উপরেও তিনি বিস্তর কাজ করে চলেছেন। মোঃ আরিফুল ইসলাম স্বপ্ন দেখেন নিজের একটি আইটি কোম্পানি গড়ে তোলার, সে উদ্দেশ্যে তিনি প্রচেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।