বাচিক শিল্প বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে একটি জনপ্রিয় ও শক্তিশালী শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এই বাচিক শিল্প কখনাে স্বতন্ত্র শিল্প হিসেবে আবার কখনাে অন্য শিল্পের সাথে যৌগিকভাবে উপস্থাপিত হয়। প্রায় সব শিল্পেই বাচিক শিল্প যুক্ত বা মিশ্রিত। যেমন অভিনয়, সংগীত, কৌতুক, থিয়েটারসহ এ জাতীয় শিল্প মাধ্যমে বাচিক শিল্প যুক্ত থাকে। অন্যদিকে আবৃত্তি, শ্রুতি নাটক, বক্তৃতা, বিতর্ক অনুষ্ঠান , সংবাদ উপস্থাপনা, অনুষ্ঠান উপস্থাপনা, রেডিও জকি বা বেতার অনুষ্ঠান উপস্থাপনা, কণ্ঠ অভিনয় এ জাতীয় মাধ্যমে বাচিক শিল্প সরাসরি উপস্থাপিত হয়। অর্থাৎ অন্য কোন শিল্প মাধ্যমের সাথে যুক্ত হয়ে উপস্থাপিত হয় না। এভাবে প্রায় সকল শিল্প মাধ্যমে কখনাে প্রত্যক্ষভাবে আবার কখনাে পরােক্ষভাবে বাচিক শিল্প সম্পৃক্ত। যেখানেই কথা বলা বা উচ্চারণের প্রয়ােজন সেখানেই বাচিক শিল্প উপস্থিত। তবে এখানে উল্লেখ করতে চাই একটি শর্ত তা হলাে শিল্পমান। যে উচ্চারণ শিল্পমানে পৌঁছতে পারে না তাকে শিল্প বলার কোন সুযােগ নেই। অনেকের বক্তব্য মানুষ বুদ হয়ে শােনে তখন সেটা শিল্পমানে পৌছায়। আবার অনেকের আবৃত্তি মানুষ শুনতে চায় না কেননা তা ভুল উচ্চারণে না বুঝেই উপস্থাপন করছেন। ফলে দর্শকের মনে ধরে না। দর্শক প্রত্যাক্ষান করে। এক্ষেত্রে এটাকে শিল্প বলা যাবে না।