"মিশরীয় মিথলজি - আদি থেকে অন্ত"বইটির লেখকের কিছু কথা: আমার কথা। সেই ২০১৭ সালে, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ‘গ্রিক মিথলজি- আদি থেকে অন্ত' প্রকাশিত হয়েছিল জাগৃতি প্রকাশনী থেকে। তখন থেকেই ‘মিশরীয় মিথলজি- আদি থেকে অন্ত’র শুরু। দীর্ঘ চার বছর লেগে গেল গ্রন্থটির লেখার কাজ শেষ করতে। এ চার বছর মিশরীয় পুরাণ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে নিজেকে অনেক সমৃদ্ধ মনে হয়েছে। মিশরীয় পুরাণ নিয়ে লিখতে গিয়ে একটা ব্যাপার বার বার মনে হয়েছে, এটি গ্রিক পুরাণের চেয়ে অনেক বেশি বিস্তৃত এবং জটিল। বিশ্বের প্রায় ৭৫ ভাগ ধর্ম এসেছে মিশরীয় পুরাণ থেকে। সবচেয়ে বড় কথা, অন্য কোনাে দেশের পুরাণ বােধহয় রাজনৈতিক কারণে এতবার পরিবর্তিত হয়নি, যতটা হয়েছে মিশরীয় পুরাণ। যাহােক, এ গ্রন্থটি শেষ পর্যন্ত শেষ করতে পেরেছি- এজন্য জাগৃতির কর্ণধার ডা. রাজিয়া রহমান জলি আপাকে সবচেয়ে বড় ধন্যবাদ দিব, কারণ তিনি চার বছর ধরে আমার পিছনে লেগে ছিলেন গ্রন্থটির জন্য। বন্ধু ওয়াহিদা মিশার কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে ঋণ পরিশােধ করার চিন্তা আমার মাথাতে নেই, আমি জানি সে একজন অসম্ভব ভালাে মনের বন্ধু বলেই গ্রন্থটির খুঁটিনাটি সব কাজে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। সহকর্মী ডা, ইরফানুল আলম, আমার কাছে একটা চমক বটে। যে অপ্রত্যাশিত সহযােগিতা ইরফানের কাছ থেকে পেয়েছি, তা অনস্বীকার্য। ফারিবা খান শুচি আপু- আমার মেডিকেল কলেজের সিনিয়র আপু, আমার কাছে মনে হয় আমার মিথলজি লেখাগুলাের সবচেয়ে বড় একজন গুণমুগ্ধ। গ্রিক মিথলজি প্রকাশের পর, সেই চার বছর আগে উনি যখন মিশর গিয়েছিলেন, তখনই সেখান থেকে আমার জন্য অনেক রিসাের্স নিয়ে এসেছিলেন, যাতে আমি মিশরীয় পুরাণ নিয়ে লেখা শুরু করতে পারি। আমি, প্রকৃতপক্ষে, তাকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই না, কারণ উনি ধন্যবাদ পাবার জন্য এ কাজগুলাে করেননি। সাইফ আলম জিসান এবং নাজিস আরেফিনের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা, সময়ে অসময়ে, প্রয়ােজনে অপ্রয়ােজনে কাছে পাবার জন্য। চারু শিল্পীকে অসংখ্য ধন্যবাদ, খুব সুন্দর এবং মনকাড়া প্রচ্ছদ করে দেবার জন্য। গ্রন্থটি লেখার সময় অন্তর্জালের ভূমিকা অসাধারণ ছিল। এমনকি পূর্বে প্রকাশিত বাংলা ভাষায় অনুবাদকৃত মিশরীয় মিথলজির গ্রন্থগুলাে থেকেও প্রচুর সাহায্য পেয়েছি। বন্ধু, সহকর্মীদের অনুপ্রেরণা ছিল আমার এ লেখার এক বিশাল শক্তি। তবে সবচেয়ে বড় শক্তি আমার দুই মেয়ে- সৈয়দা নাশমিয়া নাওয়ার মাওলা (নামিরাহ্) এবং সৈয়দা নুসাইরাহ্ নাওজা মাওলা (ফায়াহ্)- আমার দুই রাজকন্যা।
এস এম নিয়াজ মাওলা। ধনু রাশির জাতক নিয়াজ স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন, ভালবাসেন মানুষের জন্য কিছু করতে। আর তাই নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন চিকিৎসা পেশায়। বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় কর্মরত ডাঃ নিয়াজ অবসর সময়ে লেখালেখির মাধ্যমেই নিজের ভালোলাগাকে খুঁজে ফিরেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস সরলরেখা বক্ররেখা ছিল একটি বারোয়ারী উপন্যাস। ২০১২ সালে অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত বারোজন লেখকের লেখা এই উপন্যাসটি সেই সময়ে পাঠক সমাজে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিল। একই বছর জার্মান রেডিও সম্প্রচার কেন্দ্র ডয়েচে ভেলের ববস প্রতিযোগিতায় ইউজারদের ভোটে বাংলা ভাষার সেরা ব্লগ হিসেবে পুরস্কার পায় তাঁর ব্যক্তিগত ব্লগ সুড়ঙ্গ। এছাড়াও তিনি ২০১৩ সালে পাক্ষিক অর্থকন্ঠ পত্রিকা থেকে অর্থকন্ঠ হেলথ এওয়ার্ডও পেয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি 'আদি থেকে অন্ত' নামে মিথলজির একটি সিরিজ বই নিয়মিতভাবে লিখছেন, যা পাঠক সমাজে বিপুল সাড়া ফেলেছে। ডাঃ নিয়াজের সহধর্মিনী ফারজানা জামানও একজন চিকিৎসক। চিকিৎসক দম্পতির ঘর আলো করে আছে দুই রাজকন্যা নাশমিয়া নাওয়ার নামিরাহ এবং নুসাইরাহ নাওজা ফায়াহ।।