“সায়েন্সভেঞ্চার" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ বানর থেকে কি আসলেই মানুষ এসেছে? টি রেক্স কি আসলেই ছােটো হয়ে মুরগি হয়ে গেছে? আসলেই কি এককোষী প্রাণী থেকে সকল জীবের জন্ম? তাই যদি হয়, সেই এককোষী প্রাণী আসলাে কীভাবে? কী বলে আসলে বিজ্ঞান? এইসব হাইথটের কথাবার্তা চলবে, পাশে পাশে চলবে অ্যাডভেঞ্চার । অ্যান্টম্যানের সমান ছােটো করে তােমাকে ছেড়ে দিয়ে আসব মজা পুকুরে, আণুবীক্ষণিক দানবরা ডাইনােসরের সমান বিশাল হয়ে ধাওয়া করবে তােমাকে। প্রচণ্ড শক্ত একটা ড্রিল মেশিনে ভরে তােমাকে পাঠিয়ে দিব পৃথিবীর কেন্দ্রে, তােমাকে স্বাগত জানাতে আসবে নরক থেকে উঠে আসা হাজার বছরের পুরনাে জীব। ঠান্ডায় তুমি ঠকঠক করে কাঁপবে ক্রায়ােজেনিয়ানের জমাট বাঁধা বরফের পৃথিবীতে, বহু নিচে তােমার জন্য ওঁৎ পেতে থাকবে অমর প্রাণীরা। তুমি ঝাপ দেবে। ডেভােনিয়ান সাগরের গভীরে, বিরাট বিরাট দাঁড়া নাড়িয়ে তােমাকে তাড়া করতে আসবে দানব বিছারা। বার্বিকিউ পার্টি দেবে জুরাসিকের ডাইনাে ঘেরা জঙ্গলে, খাবারে ভাগ বসাতে আসবে ডাইনােরাজ অ্যালােসরাস । তারপর একদিন, বহু কোটি বছরের বিবর্তনে পৃথিবীতে আবির্ভাব হবে মানুষ নামের প্রজাতির। তখন তুমি হানা দেবে আদিম গুহামানবদের ডেরায়, তাদের সাথে গলা মিলিয়ে গাইবে চার’শ ষাট কোটি বছরের বিবর্তনের গান। এটা গল্পের বই । বিজ্ঞানের গল্প ।
নাঈম হোসেন ফারুকী অতিমাত্রায় বিজ্ঞানপ্রেমী, কারও কাছে বিজ্ঞানবাদী, কারও কাছে আবার সুপারহিউম্যান বিজ্ঞান লেখক। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শেষ করেছেন ‘কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং’ নিয়ে দেশের শীর্ষ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট থেকে। কিন্তু থিওরেটিক্যাল ফিজিক্সের ওপর চরম মাত্রার ভালোবাসা নিয়ে কি বুয়েটে পড়েও, ইঞ্জিনিয়ার হয়েও, বসে থাকা যায়? লেখক তাই গড়ে তুলেছেন বিজ্ঞানভিত্তিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞান’ ফেসবুক গ্রæপ। তাঁর প্রকাশনায় ‘টিম ব্যাঙাচি’র মাধ্যমে বের হয় অনলাইন সায়েন্স ম্যাগাজিনÑ‘ব্যাঙাচি’। তাঁর বিজ্ঞান বিষয়ক বইগুলোর মাঝে স্থান পায় অসম্ভব সরল বর্ণনা আর সমীকরণের ‘অর্থ’ বোঝার চেষ্টা। প্রচলিত ‘ফিজিক্স মানে শুধুই নিরস অঙ্ক’Ñ এই ধারণার চরম বিরোধী তিনি। তাঁর ‘চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স’ বইটি পায় ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা। এরই হাত ধরে লেখকের এবারের বইটি ‘চা কফি আর জেনারেল রিলেটিভিটি’, যেখানে লেখক দেখিয়েছেন জেনারেল রিলেটিভিটির মতো জটিল একটা জিনিসকে কত্ত আনন্দের সাথে শেখা সম্ভব।