ফটোগ্রাফির অন্যতম পুরােধা গােলাম কাসেম ড্যাডি। নামটি ক্রমে তুমুল প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। নিজ ভূমিকাকে আড়াল করে তিনি আজীবন আলােকচিত্র সাধনা করে গেছেন। সেই ভাবুক কৈশাের থেকে হাত ধরে বাঙালির আলােকচিত্রের যৌবন টেনে নিয়ে এসেছেন। ক্যামেরার। অন্ধকারের ভেতর আলাে সাজিয়ে দ্বিমাত্রিক ফ্রেমে বন্দি। করেছেন হাজারাে মণিমানিক্য! আলােকচিত্রের সীমানা! পেরিয়ে আমাদের চোখের সামনে দৃশ্যমান করেছেন। অবিভক্ত বাংলার মুখ । আমাদের না দেখা বিস্মৃত সময়গুলাে তার ক্যামেরায় ধরা।। এনসাইন বক্স ক্যামেরায় আলােকচিত্র জীবন শুরু করেন ড্যাডি। কিন্তু এনসাইনের ক্ষমতা ছিল সীমিত। একট। ভালাে ছবির আশায় প্রতিদিন ছয় মাইল হেঁটে কলেজে গিয়ে, টিফিন না খেয়ে পয়সা জমিয়ে দশ টাকায়। কিনেছিলেন একটা কোডাক ব্রাউনি কিউ এ ক্যামেরা ।। এই ক্যামেরায় তুলেছিলেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অসংখ্য ছবি। এরপর ব্যবহার করেছেন আরাে কত কী! ড্যাডি সারা জীবনে সব মিলিয়ে ছবি তুলেছেন আট থেকে দশ হাজার। ১৯১৫ সাল থেকে জমানাে তার কাচের নেগেটিভগুলাে পুরনাে কাগজপত্রের স্তুপের ভেতর যত্ন। করে রেখেছিলেন। তাঁর এসব আলােকচিত্রকর্ম এখন। ইতিহাসের মূল্যবান দলিল, গবেষণার উপাত্ত। এ। উপমহাদেশের ফটোগ্রাফির ক্রমবিকাশের ধারা বােঝার জন্য তার দুর্লভ, দুষ্প্রাপ্য আলােকচিত্রগুলাে এখন অধ্যয়নের বিষয়। ভ্যাডিসমগ্র : আলােকচিত্র ও বিবিধ গ্রন্থটি গােলাম কাসেম ভ্যাডিকে জানার দুয়ার খুলে দেবে।
Shahadat Parvez- খ্যাতিমান আলোকচিত্রী, আলোকচিত্রকলার শিক্ষক ও পরামর্শক। জন্ম ১৯৭৭ সালের ৮ অক্টোবর, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচরে। কিশোর বয়স থেকেই লেখালেখির শুরু। এই সময় ছবি তোলার নেশাও পেয়ে বসে। একসময় মনে হয়, আলোকচিত্রই উপযুক্ত পেশা। পাঠশালাÑদ্য সাউথ এশিয়ান মিডিয়া একাডেমি থেকে ফটোসাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা। প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ চিত্রসাংবাদিক। পেয়েছেন আশাহি সিম্বুন স্বর্ণপদক, এশিয়া প্রেস ফটো স্বর্ণপদক, এশিয়া প্যাসিফিক কালচারাল সেন্টার ফর ইউনেসকো পদকসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কার। কবিতার বই যে ছবি দিয়ে আঁকা প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে, কলেজে পড়ার সময়। ২০১২ সালে প্রকাশিত হয় ফটো অ্যালবাম শতবর্ষের পথিক। ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয় গবেষণধর্মী গ্রন্থ শেকড়ের খোঁজে।