★ বইটি বের করা প্রধান উদ্দেশ্য হল: ০১. হাফেজ ও মাদ্রাসার সাধারণ ছাত্র এবং জেনারেল পড়ুয়া ভাইবোনদের রেফারেন্স সহ কুরআন পড়তে আগ্রহী করা। ( মাদ্রাসার সিলেবাসভুক্ত করা) ০২. ডাঃ জাকির নায়েক স্যারের মত রেফারেন্স সহকারে ইসলামকে উপস্থাপন করতে শেখানো। ০৩. জুমুয়ার খুতবা, ওয়াজ মাহফিল ও মিডিয়ায় রেফারেন্স সহ ইসলাম তুলে ধরা। ০৪. অমুসলিম ও নাস্তিকদের সাথে আলোচনা ও বিতর্কে রেফারেন্স সহকারে কথা বলার কৌশল শেখানো। ০৫. আমাদের "রেফারেন্স ভিত্তিক কুরআন কোর্সে" যারা ভর্তি হয়েছেন এবং যারা ভর্তি হতে পারেননি সেই ভাই ও বোনদের পড়াশোনায় সাহায্য ও গাইডলাইন প্রদান করা। ০৬. পৃথিবীর প্রতিটি স্থানে কুরআনের বাণী ছড়িয়ে দেয়া এবং তা রেফারেন্স সহ মুখস্থ ও মনে রাখার ব্যবস্থা করা । ০৭. কুরআনের আদেশ/নিষেধ/নিয়মনীতির পার্থিব ও পরকালীন কল্যাণ অকল্যাণ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। ০৮. তাকওয়া/ইখলাস/ইত্তেবায়ে সুন্নাহ/সৎ আমলের মাধ্যমে ইসলাম প্রচার ও ধৈর্য্যধারনের গুরুত্ব দেয়া। ০৯. মুসলিমদের ইসলাহ বা সংশোধন করা এবং অমুসলিমদের দাওয়াহ দেয়া।
....... ★ বইটির ১ম খন্ডে আপনাদের জন্য যা যা থাকছে : ০১. কুরআনুল কারীমের ১০০০ আয়াতের লিষ্ট। রেফারেন্স দেয়ার জন্য প্রতিটি পারা থেকে নির্বাচিত ৩০ টি করে আয়াত । ২.নির্বাচিত আয়াত গুলো নিয়ে জ্ঞান অর্জনের বিস্তারিত গাইড লাইন। ০৩. রেফারেন্স মনে রাখার কৌশল নিয়ে দিক নির্দেশনা বা গাইড লাইন।। ০৪. ১১৪ টি সুরার নাম, অর্থ ও পারার রেঞ্জ ০৫. আরবী, বাংলা, ইংরেজীতে আয়াতের রেফারেন্স চর্চা। ০৬. আহসানুল বায়ান এর বঙ্গানুবাদ, Sahih International এর ইংরেজি অনুবাদ। ০৭. আয়াতের চুম্বকাংশ বা Keyword খুজে বের করে লেখার জন্য ফাকা জায়গা। আয়াতের মুল অংশ বা শব্দ মনে রাখার কৌশল এটি। একটা শব্দ বা কয়েকটি শব্দ দিয়ে পুরা আয়াত মনে রাখতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। ০৮. প্রতিটি পারার শেষে অনুশীলীতে ৩০ প্রশ্ন। (খাতায় উত্তর লিখে ৩০ আয়াতের রেফারেন্স মিলিয়ে নিলে সহজে আত্মস্থ করা সম্ভব।) ০৯. ব্যক্তিগত জীবন, পরিবারিক জীবন ও সমাজকে ইসলামের আলোকে পরিশুদ্ধ করার গাইডলাইন ...........
লেখক সাইম শাহারিয়ার (অনার্স ও মাস্টার্স রসায়ন) মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় সৃষ্টিকর্তার প্রতি সন্দেহ ও সংশয় শুরু হয়। এরপর বিজ্ঞান ও দর্শনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নাস্তিক হয়ে যান। স্বপ্ন ছিল ঘঅঝঅ-তে জ্যোতিষ বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করা। কালো যাদু শিখতে যেয়ে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হন। জীবন সমস্যার সমাধানের জন্য ধর্মগ্রন্থ পড়া শুরু করে, হিন্দু, খ্রিস্টান, কুরআন ও ৬টি পরিচিত হাদিস গ্রন্থ পড়ে ফেলেন। কোন ধর্ম অনুসরণ করবেন নাকি করবেন না এর জন্য খ্রিস্টান মিশনারী ও নাস্তিকদের সাথে আলোচনা করেন। কুরআন পড়ার সময় ভুল বের করতে শুরু করেন। ২০০৮ সাল থেকে ২০১০ সালের জুন মাস পর্যন্ত ধর্মগ্রন্থ গবেষণা করে ইসলাম ধর্ম মেনে চলার সিদ্ধান্ত নেন। তখন থেকে ইসলামের সত্য সবার কাছে তুলে ধরার জন্য কাজ করেন। আলহামদুলিল্লাহ! নাস্তিক, খ্রিস্টান, মিশনারী ও বিতর্কে আগ্রহী অমুসলিম-মুসলিমদের সাথে অনলাইন ও অফলাইনে বিতর্ক এবং আলোচনা করেন। ইসলাম প্রচারে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে। অনলাইনে তার অনেক ছাত্র আছে। FB Page, Youtube- এ দাওয়ার কাজ করে যাচ্ছেন।