আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বাংলাদেশের মতো অনেক উন্নয়নশীল দেশ তাদের দারিদ্র্য, প্রশাসনিক জটিলতা, অর্থনৈতিক উন্নয়নের মন্থর গতি প্রভৃতি দূর করার জন্য আইসিটি খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। আইসিটি সম্প্রসারণ ও ব্যবহার জনসাধারণের নাগালের মধ্যে আনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া উন্নত দেশগুলো ইতিমধ্যে আইসিটির সফল ব্যবহার ও প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের সব ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সরকার কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ, অধিকতর উন্নত জনসেবা প্রদানের জন্য প্রশাসনের সর্বস্তরে ই-গভর্ন্যান্স প্রতিষ্ঠা করেছে। জটিল যন্ত্রাংশের কার্যপ্রণালী ও জ্ঞান বিজ্ঞানের নানা সূক্ষ্মতর বিষয়কে ডিজিটাল কনেেটন্ট ও মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে বড় আকারে সহজভাবে উপস্থাপন করায় শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অনেক বেশি পরিপক্ক হবে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই । তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) তথ্যের আদান প্রদান, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এমন এক অসাধারণ সুযোগ সৃষ্টি করেছে যার অনুপস্থিতিতে স্বাচ্ছন্দময় আধুনিক জীবন চিন্তাই করা যায় না। ব্যক্তিজীবনের উৎকর্ষ সাধন, জাতীয় জীবনের উন্নতি ও প্রগতি এবং বিশ্বের জাতিসমূহের পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার বন্ধনে আবদ্ধ এক অভিন্ন পরিবারের সোনালী স্বপ্ন দেখিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে আমরা খুবই সৌভাগ্যবান। কারণ ঠিক এই সময়টাতে সারা পৃথিবীতে তথ্য প্রযুক্তির কারণে একটা অসাধারণ বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে। প্রযুক্তির উন্নতির কারণে কোন কোন ক্ষেত্রে পরিবর্তন হবে সেটি কেউ বলে শেষ করতে পারবে না। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিয়ে আমরা কেবল তথ্যের আদান-প্রদান করিনা, আমরা তথ্য গুলো বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া করে আর সেই কাজ করার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতে হয় যা একটি প্রযুক্তি ।
Title
শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশে তথ্য প্রযুক্তি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ