সুরক্ষার অধিকার শিশুর অন্যতম অধিকার । যেকোনো ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতা শিশুর বিকাশকে বাঁধাগ্রস্ত করে এবং শিশু মননে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শিশুদের সুরক্ষিত পরিবেশ প্রদান তথা নির্যাতন ও সহিংসতামুক্ত রাখার ক্ষেত্রে বড়দের দায়িত্বের পাশাপাশি শিশুরাও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে পারে। তারা সুরক্ষিত আচরণ সম্পর্কে জানতে পারে এবং অন্য শিশুদেরকেও জানাতে পারে। সম্ভাব্য নির্যাতনের ঝুঁকিতে চিৎকার করে ‘না’ বলে ‘সরে’ যাওয়া, নির্যাতনের ঘটনা গোপন না করে নির্ভরযোগ্য বড়দেরকে জানানো ইত্যাদি বিষয়ে শিশুরা সচেতন থাকতে পারে। ছোট শিশুরা গল্প পড়তে ভালোবাসে। গল্পের মাধ্যমে ‘সুরক্ষিত আচরণ’ সম্পর্কিত বিষয়গুলো শিশুদের কাছে আকর্ষণীয়, সহজবোধ্য এবং কার্যকরী হবে বলে আশা করা যায়। এতে করে একই সাথে শিশুদের পড়ার অভ্যাস তৈরি হবে এবং ‘সুরক্ষিত আচরণ’ বিষয়ক দক্ষতারও উন্নয়ন হবে। এই বিবেচনায় আন্তজার্তিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন, বাংলাদেশ-এর শিশুদের জন্য কর্মসূচি ‘গল্পে গল্পে শিশু সুরক্ষা’ নামক কর্মশালার আয়োজন করে। উক্ত কর্মশালার মাধ্যমে ৭ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য শিশু সুরক্ষা বিষয়ক এই গল্পের বইটি লেখা হয়েছে। বড় শিশু বা কিশোর-কিশোরীরাও এই গল্পের বইটি থেকে শিশু সুরক্ষার ব্যাপারে উপকৃত হতে পারে। বইটি শিশুদেরকে হয়রানী ও অন্যান্য নির্যাতনের ঝুঁকি এবং হয়রানী ও নির্যাতনমুক্ত তথা শিশুদেরকে সুরক্ষিত আচরণ সম্পর্কিত ধারণা প্রদান এবং শিশু সুরক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
মূল নাম বি এম রিয়াজ আহমেদ। জন্ম ১৯৭৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। বইয়ের সংখ্যা প্ৰায় একশ। গল্পের বই বেরিয়েছে। আন্তজাতিক প্রকাশনা সংস্থা ‘রুম টু রিডা থেকেও । কেবল পড়তে শিখেছে, এমন শিশুদের জন্য লিখছেন যুক্তবর্ণ বিহীন গল্প। দেশে যুক্তবর্ণ বিহীন গল্প তিনিই প্রথম লেখা শুরু করেন। গল্পের জন্য তিনবার সৃজনশীল শাখায় মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন২০১১-২০১৩-২০১৪ I বঙ্গাব্দ ১৪১৫-তে পেয়েছেন অগ্রণী ব্যাংক-বাংলাদেশ শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার। ২০১৪ সালে সাধারণ গদ্যে পেয়েছেন নুরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কার। ২০১০ সালে সেরা রহস্য ও ২০১৪ সালে পেয়েছেন পরিবেশ বিষয়ক সেরা লেখক হিসেবে ছোটদের মেলা পুরস্কার।