হেগেল যিনি অবিস্মরণীয় দার্শনিক হিসেবে দর্শনে যে অবদান ও সৃষ্টি রেখে গেছেন তা বাংলায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বা মাইকেল মধুসূদন দত্ত তৈরি করেছিলেন সাহিত্যে এবং তা ছিল বঙ্গের প্রকোপন, প্রতিরঞ্জন ও প্রকৃষ্টত্ব। বঙ্গে তাঁদের প্রজ্ঞান যেমন ছিল প্রতাপী তেমনি প্রতর্কণ। হেগেল জার্মান ভাববাদকে ঠিক একই ধাঁচে প্রত্যক্ষীভূত করেছিলেন। তাঁর এ জার্মান ভাববাদে যে প্রত্যভিক্ষা বা প্রত্যভিজ্ঞান দিয়ে প্রত্যয় প্রতিষ্ঠা করেছিল তা পরিণত হয়েছিল দর্শনের ইতিহাসে প্রত্যভিবাদন নামে যার অন্যরূপ আজও তৈরি হয়নি। নব্যপ্রত্যক্ষীভূত প্রজ্ঞানই হয়ে দাঁড়িয়েছিল আধুনিক ভাববাদ নামে যে ভাববাদ সমস্ত দর্শনশাস্ত্রকে সসৌষ্ঠব রূপ দিয়েছিল। দর্শনকে সামঞ্জস্য বা বিধান প্রদান হেগেলই সর্বপ্রথম করেছিলেন যা কান্ট, ফিখটে, শেলিং প্রস্তুত করতে পারেননি। সেজন্যই হেগেলকে দর্শনে অসামান্য নববিধান প্রণেতা হিসেবে খ্যাত করা হয়। এ নববিধানভুক্ত অধিবিদ্যাই দাঁড়িয়েছিল জার্মান নব্যভাববাদ নামে যার প্রকৃত আধুনিক নবরূপায়ণ হেগেলই নির্মাণ করেছিলেন। অধ্যাপক এ. কে. এম. সালাহউদ্দিন হেগেলের এ অসামান্যত্বকে তাঁর কলমে সুচারুরূপে লিখে গেছেন। বাংলায় হেগেল নিয়ে অন্যকেউ হয়তো লিখেছেন বা লিখেননি তবে পূর্ণ হেগেল নিয়ে লেখা এটিই একমাত্র গ্রন্থ। ষোল আনা দর্শনের ৮ম সংখ্যা ‘হেগেলের দর্শন’। সবার জন্য মনোরঞ্জন কামনায় -