"নবাবী বাংলার অভিজাত শ্রেণি : রাজনীতি সমাজ ও সংস্কৃতি" বইটির 'গ্রন্থ পরিচিতি' থেকে নেয়াঃ নবাবী শাসনামল বাংলার ইতিহাসে একটি চিত্তাকর্ষক অধ্যায়। আঠারো শতকের প্রথমার্ধে মুঘল সাম্রাজ্যের অবক্ষয়ের পটভূমিকায় ভারতের দ্বন্দ্বমুখর অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও মুর্শিদকুলি খান ও তাঁর উত্তরসূরি নবাবদের শাসিত বাংলা ছিল এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। এ সময় কেবল রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নয়, আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রেও বাংলার প্রশংসনীয় অগ্রগতি সাধিত হয়। বাংলার এ উন্নতি বিধানে নবাবদের কৃতিত্বপূর্ণ ভুমিকার সাথে সহযোগী শক্তি হিসেবে কাজ করেছিল একটি সামাজিক শক্তি- যাঁরা 'অভিজাত শ্রেণি' হিসেবে পরিচিত। বস্তুত, নবাবী বাংলার ইতিহাসে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ও উন্নয়ন ধারায় এ অভিজাত শ্রেণি অন্যতম নিয়ামক শক্তির ভূমিকা পালন করেছিল। কাজেই নবাবী বাংলার ইতিহাস অধ্যয়ন ও সে সময়কার যুগ বৈশিষ্ট্য উপলব্ধির জন্য এ অভিজাত শ্রেণির গঠন ও বিকাশ এবং নবাবী বাংলার রাজনীতি, আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে তাঁদের ভূমিকা ও প্রভাব-প্রতিক্রিয়া বিষয়ে অনুসন্ধানী গবেষণা জরুরি। বর্তমান গ্রন্থটিতে এ প্রয়াসই নেয়া হয়েছে। পলাশির যুদ্ধকে বাংলার নবাবী শাসনের অবসান এবং ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের সূচনা পর্ব বলে বিবেচনা করা হয়। বহুল আলোচিত এ পলাশির ঘটনা এবং এতে সমকালীন অভিজাতদের ভূমিকা সবিস্তার বিচার-বিশ্লেষণের প্রয়াসও রয়েছে বর্তমান গ্রন্থটিতে। নবাবী বাংলার সামাজিক ইতিহাস অধ্যয়নে আগ্রহী পাঠকদের প্রয়োজন মেটাতে এ গ্রন্থটি সহায়ক হবে আশা করি।
Title
নবাবী বাংলার অভিজাত শ্রেণি : রাজনীতি সমাজ ও সংস্কৃতি