যখন কোন শিশু অটিজমে আক্রান্ত হয় তখন অন্যান্য সাধারণ শিশুদের মতো তার মস্তিষ্ক স্বাভাবিক কাজ করে না, যদিও আর দশটি সাধারণ শিশুর মতোই সে বেড়ে উঠে। বাহ্যিক এবং শারীরিক ভাবে সাধারণ শিশুর সাথে পার্থক্য না থাকলেও বুদ্ধিবৃত্তিক ও আচরণগত বিকাশে অটিষ্টিক শিশুদের সীমাবদ্ধতা লক্ষণীয়। অটিজম আসলে এইসব বুদ্ধিবৃত্তিক ও আচরণগত সীমাবদ্ধতার বিশেষ কিছু লক্ষণের সামষ্টিক নাম। এটি সত্যিকার অর্থে একধরণের উল্লেখযোগ্য সীমাবদ্ধতা যা অন্যের সাথে যোগাযোগ এবং আদান-প্রদানকে ব্যাহত করে। ব্যক্তিভেদে অটিজমের মাত্রা কম-বেশী হতে পারে, যদিও এর ফলাফল সবসময়ই মারাত্মক। কারও কারও অটিজমের মাত্রা খুব বেশী থাকে যা কোন কিছু শেখার ক্ষেত্রে মারাত্মক বাধাগ্রস্থ করে, আবার কারো অটিজমের মাত্রা কম থাকে এবং তাদের স্বাভাবিক কিংবা বেশী মাত্রার বুদ্ধিমত্তা থাকে। ভাষা শেখার ক্ষেত্রেও অটিষ্টিকদের ভিন্নতা দেখা যায়, যেমন কেউ হয়ত ভাল কথা বলতে পারে কিন্তু কথোপকথন বা কোন কিছু বোঝাপড়ার সময় তার অসুবিধা হয়। আবার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অটিজম আক্রান্তরা কথা বলতে পারে না। অনেকে শব্দের ব্যাপারে, আলোর ব্যাপারে, ছোঁয়ার ব্যাপারে, গন্ধের ব্যাপারে ক্ষেত্র বিশেষে বেশী সংবেদনশীল হয়ে থাকে। স্টিফেন শোর, পিএইচডি, যার মাত্র দুই বছর বয়সে অটিজম শনাক্ত হয়েছিল, তিনি অটিজম সম্পর্কে বলছেন, “আমি অটিজমকে ভিন্নধরণের বাস্তবতা হিসেবে দেখি যা পারিপার্শ্বিকতাকে অস্বাভাবিক ভাবে উপলব্ধি ও ব্যাখা করে।”