লেখক ল্যু আন্দ্রিয়াস-সালোমে (১৮৬১-১৯৩৭) ছিলেন অদম্য জ্ঞানপিপাসু এক নারী। ১৭ বছর বয়সে তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন এক ডাচ ধর্মযাজক। তারপর কে তাঁর প্রেমে পড়েননি? দার্শনিক ফ্রিডরিশ নিৎসে, কবি রাইনার মারিয়া রিলকে, মনস্তত্ত্ববিদ সিগমুন্ড ফ্রয়েড ও লেখক পল রি। সবাই তাঁকে বিয়ে করতে চেয়েছেন। সাড়া দেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত বিয়ে করেন অধ্যাপক কার্ল আন্দ্রিয়াসকে এই শর্তে যে, তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক থাকবে না। ল্যু সালোমে জানতেন নারীর স্বাধীন সত্তা কীভাবে রক্ষা করতে হয়। এই বই যেকোনো পাঠককে আগ্রহী করে তুলবে। ল্যু আন্দ্রিয়াস-সালোমে (১৮৬১-১৯৩৭) নারীর স্বাধীন সত্তার এক মূর্ত প্রতীক। জন্ম রাশিয়ায়। ১৭ বছর বয়সে এক ধর্মযাজকের কাছে ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন সম্পর্কে পাঠ নেন। সালোমের প্রেমে পড়েন এই যাজক। তাঁকে এড়াতে সালোমে যান জুরিখে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ নেন। এরপর যান রোমে। সেখানে পরিচয় হয় দার্শনিক নিৎসে ও লেখক পল রির সঙ্গে। দুজনই সালোমের প্রেমে পড়েন এবং তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। সালোমে তাঁদের প্রস্তাব গ্রহণ না করে চলে যান জার্মানিতে। তিনি বিয়েতে আগ্রহী ছিলেন না। তা সত্ত্বেও অধ্যাপক ফ্রিডরিশ কার্ল আন্দ্রিয়াসের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে সালোমে তাঁকে বিয়ে করেন এক শর্তে—তাঁদের মধ্যে কোনো শারীরিক সম্পর্ক থাকবে না। সেই শর্ত পালন করেছেন আন্দ্রিয়াস। বিবাহিত সালোমের সঙ্গে কবি রাইনার মারিয়া রিলকের প্রেম হয়। এ সম্পর্ককে কোন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হবে? তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন মনস্তত্ত্ববিদ সিগমুন্ড ফ্রয়েডও। সেই প্রেমেই-বা কীভাবে সাড়া দিয়েছেন সালোমে? আসলে ল্যু সালোমে নিজের মতো করে জীবন যাপন করেছেন। তাঁর সেই ঘটনাবহুল ও বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে লেখা এই বই যেকোনো পাঠককে আগ্রহী করে তুলবে, আনন্দ দেবে।
আনােয়ারা সৈয়দ হক মাত্র বারাে বছর বয়সে হাতে তুলে নিয়েছিলেন কলম। সেই থেকে কোনােদিন তার লেখা বন্ধ হয় নি। মুক্তিযুদ্ধের। সময় যখন তার মুখ ছিল বন্ধ এবং তিনি। পাকিস্তানি মেডিক্যাল কোরে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন, তখনাে তিনি লিখে। গেছেন বন্দী জীবনের দৈনন্দিন সংগ্রামের কথা। সেই সংগ্রাম, সেই নীরব অশ্রুপাত, স্বামী কবিসব্যসাচী সৈয়দ শামসুল হক-কে নিরাপদে দেশের বাইরে পাঠাবার এবং সফল হওয়ার যে ইতিহাস মূলত পরবর্তী জীবনে তাঁকে জীবন সম্পর্কে, মানুষের বেঁচে থাকা সম্পর্কে, বন্দী মানুষের। মুক্তিসংগ্রাম সম্পর্কে শিখিয়েছে অনেক। নিরন্তর সাহিত্য রচনার ফলশ্রুতি হিসেবে তিনি পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা এবং পদক। তার। ভেতরে অগ্রণী ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার, চাদের হাট পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কার, বাংলা একাডেমি কবির চৌধুরী শিশু সাহিত্য পুরস্কার, ইউরাে পুরস্কার, অনন্যা শীর্ষ দশ পুরস্কার, পদক্ষেপ সম্মাননা, মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার, অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ইত্যাদি। বিশেষ করে ২০০৯ সালে পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং দু’হাজার উনিশ সালে পেয়েছেন একুশে পদক।