জীববিজ্ঞানের গবেষণায় স্টেম কোষ এখন আর নতুন কিছু নয়। বিদ্যমান নানা সমস্যায় স্টেম কোষ এক প্রতিশ্রুতিশীল সমাধানের নাম। যারা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় পড়াশোনা করছেন, তারা এ নিয়ে গভীরভাবে জানার সুযোগ পেয়ে থাকেন। কিন্তু কেমন হত যদি আমাদের দেশের শিশু-কিশোররা মৌলিক বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে শৈশব থেকেই জানতে পারত? বিজ্ঞান কখনোই পরীক্ষাগার কিংবা কোনো বিশেষ শ্রেণির জন্য সীমাবদ্ধ রয়ে যেতে আসেনি। বৃহত্তর মানবকল্যাণে একে কাজে লাগানো না গেলে ষোল আনাই বৃথা। স্টেম কোষ বইটি হতে পারে এই প্রচেষ্টায় এক অনন্য সংযোজন। মাতৃভাষা বাংলায় বিজ্ঞানকে সহজতম করে তোলার এক অনবদ্য প্রয়াসের সন্ধান মেলে স্টেম কোষ বইটির প্রতিটি অধ্যায়ে। স্টেম কোষের ইতিহাস, স্টেম কোষকে ঘিরে নানাবিধ গবেষণা, বিজ্ঞানীদের সাফল্য-ব্যর্থতা, মানবদেহে স্টেম কোষের আচরণ ইত্যাদি নিয়ে বইটিতে লেখক আলোচনা করেছেন। জীববিজ্ঞানের কিছু মৌলিক বিষয় সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান থাকলেই একজন বইটি পড়ে উপকৃত হতে পারেন। লেখক যথেষ্ট পরিমাণ মৌলিক গবেষণা পড়ে বইটি লেখার চেষ্টা করেছেন— এটি বইটির পরতে পরতে সুস্পষ্টভাবে বোধগম্য। একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো, বইটি যদি কেউ অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মধ্যে পড়ে ফেলতে পারেন তাহলে ভবিষ্যতে জীববিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে গেলে তিনি নিঃসন্দেহে এর সুফল ভোগ করবেন।
অপূর্ব পালের জন্ম রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মৈশালা গ্রামে। তিনি পাংশা জর্জ (পাইলট) উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং পাংশা সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাটেরিয়ালস্ সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত রয়েছেন। তার বিভাগের সকল শিক্ষার্থীকে অ্যাকাডেমিক পড়ালেখা, গবেষণা ও বিদেশে উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে সহযোগিতার উদ্দেশ্যে, ২০১৯ সালে তিনি materialsscience.net ওয়েবসাইটটি তৈরি করেন। অপূর্ব পাল স্বপ্ন দেখেন নিজেকে একজন গবেষক হিসেবে তৈরি করার। তিনি ভালোবাসেন বাঁশি বাজাতে, ক্রিকেট খেলতে ও বই পড়তে।