কিশোর কাব্যগ্রন্থ—চাঁদে আমার বাড়ি শিশু-কিশোর মনে নাড়া দেয়ার মতো অসাধারণ ছন্দময় কবিতা উপহার দিয়েছেন সময়ের প্রতিশ্রুতিশীল ছড়াশিল্পী ও কবি নকীব মাহমুদ। কথায় কথায় শিশুমনের নানারকম উত্তর দেবার চেষ্টা করেছেন তিনি। উপমা-উৎপ্রেক্ষা ও রকমারি চিত্রকল্পের বাহার সাজানো হয়েছে— ‘চাঁদে আমার বাড়ি’ কিশোর কাব্যগ্রন্থে। তেইশটি কিশোর কবিতার বইটিতে পৃষ্ঠা সংখ্যা আটচল্লিশ। এক নিঃশ্বাসে পড়ার মতো বইটি দারুণ উপভোগ্য। কবি নিজেকে ভোরের পাখির সঙ্গে তুলনা করেছেন। ভোরের সঙ্গে মিশে আছে প্রভূত কল্যাণময়তা। কবি নিজেও কল্যাণপূজারি। সবার মঙ্গল কামনাই যেনো তার একান্ত বাসনা। তিনি লিখেছেন, আমি হব ভোরের পাখি/ময়না-শ্যামা, রাখিস না মা আটকে আমায়/ছুটি দে না! এ ছাড়াও নিজেকে তিনি নূপুর, সাঁতার, ঘুড়ি, ফুলের ঘ্রাণ, চাঁদের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কিশোর কবিতায় শব্দপ্রয়োগে আরও সচেতনতা জরুরি। নকীব মাহমুদ গদ্যসাহিত্যের মতোই কবিতায় নিজেকে আলাদা করে পরিচয় করিয়ে দেবার চেষ্টা করেছেন। তবে কবিমনে প্রচুর পরিমাণ কাব্যরসদ রয়েছে বলে চাউর করা যায়। প্রতিভাধর এ কবির আরও কিছু দেয়ার আছে বলেই আমি মনে করি। ‘চাঁদে আমার বাড়ি’ গ্রন্থে শিশু-কিশোরকে নাড়া দিতে পারে—এমন অনেক কিশোর কবিতা স্থান পেয়েছে। বইটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
"নকীব মাহমুদ। জন্ম ৭ই মে ১৯৯৪ সালে। ২০০৫ সালে ঢাকার পূর্ব রাজা বাজার দারল কোরআন ইসলামিয়া মাদরাসা থেকে হিফজুল কোরআন সমাপ্ত করেন। বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা থেকে ২০১৫ সালে হাদিসে মাস্টার্স শেষ করেন। সাহিত্য সংগঠন শীলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য। বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। ২০০৮ সাল থেকে তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হচ্ছে ছড়ার কাগজ তারাফুল। এছাড়াও বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন আলোর কাফেলা নামে একটি সঙ্গীত একাডেমি। প্রকাশিত বই: ১. নতুন দিনের গল্প শোনো ( গল্পগ্রন্থ) ২. রহস্যের খোঁজে শন্তুমামা ( কিশোর উপন্যাস) ৩. চাঁদ উঠেছে তারার দেশে ( ছড়াগ্রন্থ)।"