"উন্নয়ন কী? উন্নয়ন ও টেকসই উন্নয়নের পার্থক্য প্রায়োগিক অর্থে আসলে কী? আমাদের উন্নয়ন দর্শন কী? সেখানে কোনো ক্ষত আছে কি? আমাদের সাধারণ মানুষের জীবনে উন্নয়নের জোয়ার ও অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন কী অর্থ বহন করে— তার দুর্দান্ত এই ব্যাখ্যা হচ্ছে এই বই। উন্নয়ন কাদের জন্য করা হয়, কীভাবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হওয়া উচিত তা এই পুস্তকের মূল আলোচ্য। বইটিতে উন্নয়ন দর্শন এবং উন্নয়ন বাস্তবায়নকে খাতভিত্তিক আঙ্গিকে অত্যন্ত ক্রিটিক্যালি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ‘উন্নয়নের জোয়ার’, ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন’, ‘উন্নয়নের মহাসড়ক’, ‘উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ’ এসব প্রপঞ্চের অর্থটা মানুষের জন্মে, বেড়ে ওঠায়, যাপিত জীবনে, তার শিক্ষায়, চিকিৎসায়, কর্মসংস্থানে, নিরাপত্তায়, তার চারপাশের মাটি পানি বাতাস প্রাণ ও পরিবেশে ঠিক কী অর্থ বহন করে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা হয়েছে বইতে। উন্নয়ন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ‘মানসম্পন্ন নিরাপদ পরিবেশবান্ধব সভ্য জীবনের’ টেকসই সংজ্ঞা হয়ে উঠেছে কি না তা বিভিন্ন প্রবন্ধের আলোকে উপস্থাপন করা হয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়নে এবং সার্বিক অবকাঠামো দর্শনে কোনো ক্ষত আছে কি না, উন্নয়নের প্রপঞ্চ নির্মাণে রাজনৈতিক বাহাস ও স্ট্যান্টবাজির বিষয় আছে কি না তা দেখিয়েছেন লেখক। বাংলাদেশের উন্নয়ন দর্শনে অনেক সত্য-মিথ্যা ও মিথ আছে; কিন্তু জীবন আছে কি? "
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ, ১৯৮০ সালে কুমিল্লা জেলার লাকসাম (মনোহরগঞ্জ) উপজেলার খিলা ইউনিয়নের বান্দুয়াইন গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ইলেক্ট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক। তিনি ১৯৯৭ সালে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৯৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল-এ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৫ থেকে ২০০৭ সময়কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ অধ্যয়ন করেন। ২০০৫ থেকে অদ্যাবধি টেলি যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ হিসবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে তিনি সিনিয়র সফটওয়্যার সল্যুশন আর্কিটেক্ট হিসেবে ‘ভোডাফোন জিজ্ঞো’ নেদারল্যান্ডস-এ কর্মরত আছেন। ইতিপূর্বে তিনি এলকাটেল লুসেন্ট বাংলাদেশ, টেলিকম মালয়েশিয়া বাংলাদেশ একটেল (বর্তমান রবি), এমটিএন কমিউনিকেশনস নাইজেরিয়া, এরিকসন নাইজেরিয়া, এরিকসন ঘানা, এরিকসন দক্ষিণ কোরিয়া, এরিকসন নেদারল্যান্ডস এ কাজ করেছেন। পেশাগত জীবনে তিনি দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ এবং পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ডিজাইন ও বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। জনাব ফয়েজ তৈয়্যব একজন ‘টেকসই উন্নয়ন ও অবকাঠামো’ বিষয়ক প্রবন্ধকার। টেকসই উন্নয়নের নিরিখে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরের কাঠামোগত সংস্কার, সুশাসন, প্রতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং প্রযুক্তির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় জ্ঞানের সমন্বয় ঘটিয়ে বাংলাদেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধানের পর্যালোচনা করে থাকেন। তিনি তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং পেশাদারিত্বের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে দেশের আর্থ সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চান। তাই এসকল বিষয়ে তাঁর নিজস্ব মুক্ত চিন্তা স্বাধীন ভাবে প্রকাশের প্রয়াস করেন। তাঁর লিখায় যা বিশেষ ভাবে গুরুত্ব পায়ঃ সাস্টেইনএবল ডেভেলপমেন্ট এর নিরিখে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন পদ্ধতিগত দিক, বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পের ডিজাইন ত্রুটি, অর্থনীতি শিক্ষা স্বাস্থ্য ও কৃষি ইত্যাদি খাতের কারিগরি ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামোগত সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তনের কারিগরি প্রস্তুতি, ম্যাক্রো ও মাইক্রো ইকোনমিক ম্যানেজমেন্টের কারিগরি দিক এবং অটোমেশন। সামাজিক সংযোগের দিক থেকে উনি একজন টেকসই উন্নয়ন কর্মী, ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। গ্রীণপিস নেদারল্যান্ডস এর সদস্য। দৈনিক বণিকবার্তা, দৈনিক শেয়ারবিজ ও দৈনিক প্রথম আলো অনলাইনের উপসম্পাদকীয় কলাম লেখক।