১৭৭৬ সালে শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে পরিবার ও সম্প্রদায় পরিণত হয় রাষ্ট্র ও বাজারে। বিপুল পরিমাণ উদ্ভিদ ও প্রাণীর বিলুপ্তি ঘটে এ সময়ে। আমাদের এখনকার খাদ্যাভাস, মনস্তাত্বিক দ্বন্দ্ব কিংবা আমাদের যৌনতা এসবই আসলে গড়ে উঠেছে শিল্প বিপ্লবের পর থেকে উত্তর আধুনিক পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে যুগযুগ ধরে চলে আসা আমাদের শিকারী মনের নিয়ত মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে। এই শিল্প বিপ্লব আমাদের আরো বেশি বস্তুগত সম্পদ দিয়েছে, দীর্ঘায়িত জীবন দিয়েছে, সক্ষমতা দিয়েছে মহাকাশ জয় করার। যা আমরা সেই আগেকার জীবনে পাইনি। কিন্তু একই সঙ্গে এই পরিবর্তিত পরিবেশ আমাদের দিয়েছে একাকিত্ব, হতাশা এবং নানা ধরনের মানসিকচাপ। যেহেতু আপনিও এই শিল্প বিপ্লবের সুবিধাভোগী আধুনিক যুগের একজন সফল মানুষ তাই এই মানসিকচাপ ও চাহিদার অসামঞ্জস্যতা আপনার জীবনেরও অনুষঙ্গ। শুধু আপনি নন আল্লাহর নবী, রাসুল, পীর-আউলিয়া, রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, আইনজীবি, সরকারি চাকুরিজীবী, খেলোয়াড়, সফল ব্যবসায়ী ও কর্পোরেট লিডার, গৃহিণী থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রী পর্যন্ত সবাই মানসিক চাপ নিয়েই তাদের জীবন সামনে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন এবং এখনও যাচ্ছেন। আপনি চাইলেই এই মানসিক চাপ বাদ দিয়ে জীবন-যাপন করতে পারবেন না এবং একমত হবেন এই মানসিক চাপ শুধুমাত্র আমাদের কারও নিজের কর্মের জন্য আমাদের কাছে আসেনি। এটাই যুগ ও সভ্যতার উন্নয়নের বাস্তবতা মাত্র। এই বই আপনাকে মানসিক চাপের উৎস সন্ধান, কেন এই মানসিক চাপ আপনি নিবেন, চাপ কমানোর কৌশল এবং চাপের সাথে অভিযোজিত হয়ে ব্যক্তি, পারিবারিক ও কর্ম জীবনে সফলতার দিকনির্দেশনা দিবে, আপনার জীবনকে সহজ করবে, কর্মে বাড়াবে গতি। ডিপ্রেশন, স্ট্রেসসহ আধুনিক জীবনের সমস্যাগুলো যুক্তিবাদী চিন্তা ও বাস্তবতার আলোকে সমাধানের দিগন্ত উন্মোচন করবে নিশ্চিতভাবে বাংলা ভাষায় প্রথম লেখা স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট নামের এই বইটি।
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় লেখক ড. মোহাম্মদ জুলফিকার আলী, ড. জে. আলী নামে পাঠক মহলে সমধিক পরিচিত। হুমায়ুন পরবর্তী বাংলা সাহিত্যে যে কয়জন লেখক পাঠক মহলে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছেন ড. জে. আলী তাদের মধ্যে অন্যতম। তার লেখায় টান আছে, আছে পাঠককে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখার চমৎকার কৌশল। পুরুষ্কার প্রাপ্ত এই লেখককে আত্ব-উন্নয়নমূলক বই লেখার জন্যে বলা হয়-বাংলাদেশের ডেল কার্নেগী। টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব পাশে পয়লা গ্রামে ১৯৭৯ সালে জন্ম নেয়া এই লেখক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে বিবিএ ও এমবিএ সম্পূর্ণ করেন। এরপর ঢাকায় এসে ইংরেজী সাহিত্যে এম.এ এবং এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন ভেতরের তাগিদ থেকে। পি.এইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া থেকে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দেড়যুগ সময় ধরে অধ্যাপনা করছেন। শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা জীবন শুরু। এরপর দেশের বৃহত্তম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে শিক্ষকতা করেন দশ বছরেরও অধিক সময়। এছাড়াও খন্ড কালীন শিক্ষক হিসেবে পড়িয়েছেন-ড্যাফোডিল, গ্ৰীন, পিপলস্, ইউনিভার্সিটিতে। বর্তমানে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসাবে কর্মরত আছেন-ইউনিভার্সিটি অফ স্কলার্স (আই ইউ এস) বনানীতে । মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ২০২২ সালে। দেশে ও বিদেশের বিখ্যাত জার্নালে তার ২৩টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে তার। ”আপনি খুঁজছেন চাকরী কিন্তু নিয়োগকর্তা খুঁজছেন কী?” এই নামে ২০০৮ সালে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার প্রথম বই। ছাত্রছাত্রী ও চাকরী প্রার্থীদের জন্য লেখা - ”সফলতার প্রথম পাঠ” পাঠক মহলে সমাধৃত হয় ব্যাপক ভাবে। তার লেখা সেলস এন্ড মার্কেটিং নিয়ে "ইঁদুরের পকেট মানি", পিছিয়ে পড়া ও হতাশাগ্রস্ত ছাত্র-ছাত্রী জন্য লেখা "সফলতার দ্বিতীয় পাঠ- চাবুক", এবং একুশে গ্রন্থমেলা- ২০২০ এ প্রকাশিত আত্ম-উন্নয়ন মুলক বই-"কিংবদন্তীর নীরব ধন" পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। তাঁর লেখা "লাবনী পয়েন্ট" ও "উপেক্ষা" ছোট গল্পগ্রন্থ দুইটিও নজর কেড়েছে সুধী মহলের। তাঁর লেখা উপন্যাস "অভিশাপের" জন্য পেয়েছেন মাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড ২০২০ এবং সাহিত্য বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন "মিডিয়া জার্নালিস্ট ফোরাম অ্যাওয়ার্ড ২০১৯"। ২০২৩ বই মেলায় প্রকাশিত হয় গল্প সংকলন "লোভ"। তিনি একজন সফট স্কিল এবং সেলস ট্রেইনার হিসেবে দেশ এবং দেশের বাইরে পরিচিতি পেয়েছেন ব্যাপকভাবে। শিক্ষকতার পাশাপাশি আত্ম-উন্নয়ন মূলক বই লিখে অল্প সময়ে খ্যাতির শীর্ষে অবস্থান করছেন লেখক ড. জে আলী।