“মাছে ভাতে বাঙালি” প্রবাদটির সাথে আমরা বাঙালিরা খুবই পরিচিত। আর ভাত হলো কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার অন্যতম প্রধান মাধ্যম। শুধু ভাত কেন? রুটি, পরোটা, মিষ্টি, পায়েস, পিঠা, পিজ্জা-বার্গার, কোল্ড-ড্রিংকস ইত্যাদি ছাড়া যেন অনেকে রসনাই কল্পনা করতে পারে না। আর উচ্চ ক্যালরির এই খাবারগুলোতে থাকে ভরপুর মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা। এগুলো আমাদের অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল-এর দিকে ঠেলে দেয়। মেয়েরা অনিয়মিত পিরিয়ড এবং পিসিওডি/পিসিওএসে ভোগেন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই অতিরিক্ত ওজন দায়ী৷ একবার ওজন কমতে শুরু করলেই ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসবে হরমোনের সমস্যা। ডায়েট কন্ট্রোল করা মানে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করা নয়! এতে প্রয়োজনীয় শক্তির অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত হেলদি ফ্যাট, প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি এবং পরিমাণ মতো প্রোটিন রেখে দিনের কিছুটা সময় ব্যায়াম করলে শরীর থেকে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলা যায়। প্রতিনিয়ত আমরা যা খাই যেমন: ভাত-রুটি, ফাস্টফুড, ডেজার্টসহ ইত্যাদি একই খাবার স্বাস্থ্যকরভাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন উপায়ে রান্না করে ডায়েটের খাবারে এবং স্বাদেও যে নতুনত্ব আনা যায় তা এই বইয়ের রেসিপিগুলোতে দেখানো হয়েছে। এই খাবারগুলোতে খুব কম মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা এবং পর্যাপ্ত হেলদি ফ্যাট থাকে, যা খেলে সহজেই ক্ষুধা লাগে না ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।
আমার নাম আফসানা আফরিন।জন্ম দিনাজপুরের বিরামপুরে।ছোটবেলা থেকেই যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠা।বর্তমানে ঢাকায় থাকেন।দেশের স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভারসিটি,বাংলাদেশ (আই.ইউ.বি) থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক।দেশের বাইরে স্নাতকোত্তরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।ছোটবেলা থেকেই রান্নার প্রতি ঝোঁক ছিলো।সেই সাথে ওজন নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে এমন বিভিন্ন রেসিপি রান্নার উপর অন্বেষন করতাম।রান্নার পাশাপাশি আঁকা-আঁকি করতে,ঘুরতে এবং গার্ডেনিং করতে ভালোবাসি।