প্রাচীর পেরিয়ে হল একটি আত্ম-জীবনীমূলক অনুবাদ গ্রন্থ। এই বইটি অ্যাসপার্গার সিন্ড্রোম সম্পন্ন ব্যক্তির জীবন সম্পর্কে অজানা ও অন্তর্দৃষ্টিমূলক তথ্যের বিষদ বর্ণনা দেয়। মূল ইংরেজী সংস্করনের বইটির লেখক হচ্ছেন ড. স্টিফেন মার্ক শো'র। তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত সেলফ অ্যাডভোকেট, শিশু বয়সেই যার অটিজম ধরা পড়েছিল। তিনি তার ব্যক্তিগত ও পেশাগত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সহজ ও স্পষ্ট বর্ণনায় তথ্য সমৃদ্ধ ও পাঠক বান্ধব এই বইটি লিখেছেন। যা অ্যাসপার্গার সিন্ড্রোম সম্পন্ন ব্যাক্তির কঠিন অভিজ্ঞতা সম্পর্কে নতুন ধারনা দেয়। তিনি এই বইটিতে শুধু তার নিজস্ব মতামতই তুলে ধরেননি, সেই সাথে তার পারিবারিক ঘটনা ও প্রেক্ষাপটগুলোও তুলে ধরেন। তার এই ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতাকে সাম্প্রতিক গবেষনার সাথে মেলবন্ধন করা হয়েছে যা ব্যক্তি ও পেশাদার উভয় শ্রেনিকেই এই বিষয়ে সমানভাবে আগ্রহী করে তুলে। এই বইটি অ্যাসপার্গার সিন্ড্রোম সম্পর্কিত সাহিত্যের জগতে এক মূল্যবান সংযোজন। শো’রের কাজটিতে অ্যাসপার্গারকে তিনটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হয়ঃ অটিজম স্পেক্ট্রাম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ব্যক্তিদের সাথে কাজ করা একজন ক্লিনিসিয়ান হিসেবে, একজন বয়োঃপ্রাপ্ত হিসেবে যিনি নিজেই অ্যাসপার্গার বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ছিলেন, এবং একজন বয়োঃপ্রাপ্ত অ্যাসপার্গার বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে তিনি তার জীবনব্যাপী যে চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্য দিয়ে এসেছেন সেগুলো স্বরণ করে। এই বইটিতে তার শিশু বয়সের উপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে আর বয়োঃপ্রাপ্ত সময়ের উপর কম গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কেননা, সে তার পরিচর্চাকারী ও মেন্টরদের সহায়তায় বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে সামজিক ও গাণিতিক দক্ষতাগুলো শিখেছে।
ড. স্টিফেন শো’রের চার বছর বয়সেই ডায়াগনোসিস হয়েছিল যে, তিনি কথা বলতে পারেন না এবং তার বিকাশজনিত সমস্যা ও গুরুতর অটিজম প্রবণতা রয়েছে। তিনি বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্পেসাল এডুকেশনে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। স্টিফেন এখন অ্যাডেলফি বিশ্ববিদ্যালয়ের Ruth S. Ammon School of Education এ এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে কর্মরত আছেন। অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন ও তাদের সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশ ঘটানোর লক্ষে তার কাজের অংশ হিসেবে তিনি স্পেসাল এডুকেশন ও অটিজমের ওপর কোর্সগুলো পড়ান। শিক্ষা, পারস্পারিক সম্পর্ক, কর্মসংস্থান, অ্যাভোকেসি ও নতুন তথ্য উন্মোচন-এই বিষয়গুলোর উপর উপস্থাপনা, কনসালটেশন ও লেখালাখির জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।