আসিফ আকবরকে বাইরে থেকে কঠিন মানুষ মনে হয়। লৌহ মানব। আমার কাছে মনে হয়েছে, এই কাঠিন্য তার বহিরাবরন। মূলত আসিফ আকবরের ভেতরটা নরম। অনেকটা শামুকের মতো। পার্থক্য হল শামুক বিপদ দেখলে খোলসবন্দী হয়ে পড়ে। আসিফ আকবর তা করেন না। তার বৈশিষ্ট্যের কোমল অংশটুকু জাগ্রত রেখেই আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠেন। মায়ের পেট থেকে আক্রমনাত্মক শিশু প্রসব হয় না। পরিবার, সমাজ সর্বোপরি তার বিচরণক্ষেত্র তাকে আক্রমানত্মক হতে শেখায়। তার অন্তর্গত জিন টিকে থাকার উপায় বাতলে দেয়। আসিফ আকবরের এই দুটো বৈশিষ্ট্যই আমার মনোযোগ কেড়েছে। তার মধ্যে যে কোমল সত্ত্বা বিরাজমান, তা এতই কোমল যে শিশুর সারল্যর সঙ্গে তুলনা করা চলে। এবং এই সত্ত্বার কতৃত্বই তার ওপর বেশি। অন্যদিকে ভীষণ মেজাজী আসিফ আকবর বেরিয়ে আসেন মাঝে-মধ্যে। খুব অল্প সময় তার কতৃত্ব থাকে। বদমেজাজটা ঘুমিয়ে পড়ার পর আসিফ আকবর আরো কোমল, আরো শিশু। আসিফ আকবরের জীবনে বলার মতো ঘটনা অসংখ্য। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বলতে গেলে আরব্য রজনীর মতো সিরিজ করতে হবে। ‘আকবর ফিফটি নট আউট’ বইতে উঠে এসেছে উল্লেখযোগ্য ঘটনা সমূহের অংশবিশেষ। তার প্রেম, রাজনীতি এবং সঙ্গীত ক্যারিয়ার এই তিনটাই এখানে প্রাধান্য পেয়েছে। বাকি সব এই তিনের অনুসঙ্গ।
সাবলীল ভঙ্গিতে গদ্য লেখার বৈশিষ্ট্যই লেখক সোহেল অটল -এর প্রধান গুণ। বাংলা সাহিত্যে সমসাময়িক গল্প লেখকদের খুব কম জনের মধ্যেই এই গুণ বিদ্যমান। দীর্ঘদিন সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা হয়ত তার লেখাকে তথ্যবহুল হয়ে উঠতে সাহায্য করে। ‘আকবর ফিফটি নট আউট‘ বইতেও এর প্রমাণ মেলে। সোহেল অটল -এর জন্ম বাংলাদেশের মাগুরা জেলায়, ১৯৮১ সালের পহেলা ডিসেম্বর। যদিও এ দেশের কোটি মানুষের মতো তার অফিসিয়াল জন্ম তারিখ অন্যটা, ৭ ডিসেম্বর ১৯৮২। ‘প্যারানরমাল প্লট‘, ‘লুসি ও তার প্রেমিকেরা‘, ‘ছায়ামানবী‘ লেখকের পূর্ব প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ।