বাংলাদেশের বর্তমান মুনসিগঞ্জ জেলার প্রাচীন নাম বিক্রমপুর। এই বিক্রমপুর অত্যন্ত প্রাচীন একটি জনপদ। নবদ্বীপ, সোনার গাঁ, ঢাকা, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি স্থানসমূহ পরিচিতি লাভ করার বহু আগে থেকে জনসাধারণের কাছে বিক্রমপুর ব্যাপক পরিচিত ছিল। কথিত আছে রাজা বিক্রমাদিত্য দেশ ভ্রমণে বের হয়ে তৎকালীন সাগর তীরবর্তী সমতট জনপদের স্থান বিশেষের সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে সে স্থানের নামকরণ করেন বিক্রমপুর। অন্য এক প্রবাদ অনুসারে সেন বংশের পূর্বপুরুষ বিক্রম সেনের নামানুসারে এ জনপদের নাম হয় বিক্রমপুর। অনেকের মতে আবার সেন রাজাদের নামে নয় বরং তাঁদের রাজ্যে যশ ও বিক্রম এত বিস্তৃতি লাভ করেছিল যে রাজ্যের নামকরণ হয় বিক্রমপুর। কেউ কেউ মনে করেন নবম শতকের পাল বংশের রাজা ধর্মপাল নির্মিত বিক্রমপুরী বিহার হতে বিক্রমপুর নাম হতে পারে'। এ বিষয়ে লামা তারানাথ বিরচিত তিব্বতের ইতিহাস বা তেঞ্জুরই স্বাক্ষ্য। অন্যদিকে শ্রী নলিনীকান্ত ভট্টশালীর অভিমত হচ্ছে শ্রীচন্দ্র দেবের তাম্রশাসন হতে যে বিক্রমপুর নাম পাওয়া যায় সে বিক্রমপুর রাজধানীর নামানুযায়ী বর্তমান ঢাকা, ফরিদপুর, বরিশাল জেলা নিয়ে গঠিত অঞ্চলটির নাম সেসময় বিক্রমপুর হয়েছিল।
প্রফেসর জিতেন্দ্র লাল বড়ুয়া ১৯৪৬ সনের ২০ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার রুমখা পালং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬২ সনে রত্না পালং মডেল হাইস্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চট্টগ্রাম সরকারি বাণিজ্য কলেজ থেকে ১৯৬৪ সনে উচ্চমাধ্যমিক এবং ১৯৬৭ সনে বি.কম সম্মান পরীক্ষা কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন। ঢাকা, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৬৮ সনে হিসাব বিজ্ঞানে এম.কম. ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬৯ সনে তিনি চট্টগ্রামের পটিয়ায় হুলাইন ছালেহ নূর কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। ১৯৭০ সালে নােয়াখালি সরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে যােগদানের পর তিনি পটুয়াখালি সরকারি কলেজ, ঝালকাঠি সরকারি কলেজ, সরকারি সাদত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, টাংগাইল, সরকারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ঢাকা এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে বিভিন্ন। মেয়াদে অধ্যাপনা করেন। ১৯৭০ সনের মহাপ্লাবনের পর তিনি নােয়াখালির চরাঞ্চলে রিরিফ অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭১ সনের মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করায় তিনি শারিরীকভাবে জখম প্রাপ্ত এবং সাময়িকভাবে কর্মচ্যুত হয়েছিলেন। সাদত কলেজে অধ্যাপনাকালে তিনি আই.সি.এম.এ টাংগাইল শাখার কোর্স কোঅর্ডিনেটর এবং ইব্রাহিম খাঁ ছাত্রবাসের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে অধ্যাপনাকালে তিনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচএসসি কুমিল্লা শাখার কোঅর্ডিনেটর ছিলেন। ১৯৯৩ সনের এপ্রিল মাসে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়ে নেত্রকোনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদে যােগদান করেন।