শিশু রাসেলের ভুবন ছিল তার পিতা-মাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব, বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামালকে ঘিরে। তাঁদের সবার ভালোবাসার ধন ছিল ছোট্ট রাসেল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে শেখ রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বিদেশে থাকায় দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান। শিশু বয়সেই লক্ষ করা গেছে বঙ্গবন্ধুর মতোই ছিল শেখ রাসেলের উদার হৃদয়, ছিল বন্ধুবৎসল, গরিবদের জন্য ছিল তার দরদ ও মমত্ববোধ। তার ছোট্ট জীবন থেকে আমাদের অনেক শিক্ষণীয় আছে। শিশুরা কীভাবে অনাবিল সুন্দরের সৌন্দর্যে বেড়ে ওঠে, হাসতে পারে, খেলতে পারে, দুষ্টুমি করতে পারে, বন্ধুত্ব করতে পারে, গরিব মানুষকে ভালোবাসতে পারে তা শেখ রাসেলের জীবন থেকে সুন্দরভাবে অনুধাবন করা যায়। রাসেলের জ্বলজ্বলে সুতীক্ষ্ণ চোখ দুটোই বলে দেয় ওই শিশুর মাঝে ছিল ভিন্ন কিছু। ছিল মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা। তার মধ্যে ছিল অসাধারণ জ্ঞানবাসনা। রাসেলের স্মৃতি আজও কাঁদিয়ে ফেরে বাংলার মানুষকে। বাঙালি জাতির চিরায়ত শৈশবের প্রতীকে পরিণত হয়েছে শেখ রাসেল। অদম্য বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রায় প্রতিটি শিশুই অনুপ্রেরণা পাক রাসেলের জীবন থেকে। এই গ্রন্থটিতে শেখ রাসেলের শৈশবের নানা গুণাবলি এবং উল্লেখযোগ্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি সর্বস্তরের পাঠক গ্রন্থটি থেকে শেখ রাসেল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ এবং নানা অজানা তথ্য লাভে সক্ষম হবেন।