সেই ব্রিটিশ শাসনামলের কথা। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের অবসান হতে থাকে ধীরে ধীরে। দীর্ঘ মুসলিম শাসনে অবসন্ন ভারতীয় মুসলিম বিদ্বেষী বিশাল জনগোষ্ঠী ব্রিটিশ-বেনিয়াদের সাথে যোগ দেয় মুসলিম বিরোধী সকল ষড়যন্ত্রে। মুসলমানগণ সহজ শিকারে পরিণত হয় শাসকগোষ্ঠীর। সরকার পরিচালনার পদগুলো থেকে তারা চ্যুত হতে থাকে এবং ইংরেজদের সাথে অভিমান করে ইংরেজি শিক্ষা নিজেদের জন্য নিষিদ্ধ করে তৎকালীন আধুনিক শিক্ষায় একেবারেই পিছিয়ে পড়ে। ফলে মুসলমান জনগোষ্ঠীর উপর এর এক দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা থেকে পিছিয়ে পড়ে সরকারি চাকরি থেকেও বঞ্চিত হতে থাকে মুসলমান জনগোষ্ঠী। এরপর বহু সময় পার হয়ে যায়, ধীরে ধীরে মুসলমানদের মধ্যে কিছুসংখ্যক ব্যক্তিত্ব উচ্চশিক্ষা লাভ করে সামরিক-অসামরিক পদে যোগ দেয়ার সুযোগ পান। সে দুঃসময়ের কিছু সামরিক অফিসার বা সামরিক নেতাকে জাতির সামনে তুলে ধরার এ প্রয়াস। বিশেষ করে দুঃসাহসী, ত্যাগী ও মেধাবী চৌকস অফিসার যারা সামরিক নেতা হিসেবে পরিচিত, সামরিক বাহিনী গঠন এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অসাধারণ অবদান রেখেছেন। এ বইয়ে সম্মুখ সারির অনন্যসাধারণ ব্যক্তিত্বদের জীবনী ও তাঁদের কৃতিত্বকে সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এবং যা জাতীয় পত্রিকা ও ‘ফেসবুকে' প্রকাশ করে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। বয়োজ্যেষ্ঠ, জ্ঞানী, অভিজ্ঞরা সেগুলো পড়ে আরো বহু তথ্য ও অজানা বিষয় তুলে ধরেছেন। এসব মন্তব্যও এ বইয়ে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। প্রিয় পাঠকগণকে বইয়ের যেকোন ভুল-ত্রুটি শুধরে দেয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হল। মহান আল্লাহ্ সুবাহানু ওয়াতায়ালা আমাদের সহায় হোন। আমীন ।