কোন সরকারি চাকুরিজীবীর চাকরি শেষে আর্থিক নিরাপত্তা বা সুবিধার জন্য চাকরিকালে কর্মীর ও নিয়োগ কর্তার দানে যে তহবিল গঠন করা হয় তাকে প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ভবিষ্য তহবিল বলে।
বইটিতে রয়েছে সাধারণ ভবিষ্য তহবিল বিধিমালা--১৯৭৯, ভবিষ্য তহবিল আইন--১৯২৫, প্রদেয় ভবিষ্য তহবিল বিধিমালা ১৯৭৯, ট্রেজারী ও জিএফআর রুলসের আলোকে জিপিএফ সংক্রান্ত বিধিবিধান। বর্তমানে আইবাস এর মাধ্যমে অনলাইনে সরকারি চাকুরিজীবীদের বেতন ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। তাই আইবাস এর জিপিএফ সংক্রান্ত সব মেনু পরিচিত ও কাজ করার পদ্ধতিগুলো বিশদভাবে সমাধানের জন্য চেষ্টা করেছি।
তবে আইবাস প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে। একজন সরকারি চাকুরিজীবী চাকরিতে প্রবেশ করার পর থেকে নতুন আইবাস পদ্ধতিতে ডিজিটাল ১০ নম্বরে জিপিএফ একাউন্ট খোলা হতে শুরু করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে চূড়ান্ত অর্থরিটির মাধ্যমে অর্থ চূড়ান্তভাবে উত্তোলন করার পদ্ধতি তুলে ধরা হয়েছে। পিআরএল গমনের পর কতদিন পর্যন্ত চাঁদা কর্তন করবে এবং লভ্যাংশ কতদিন পর্যন্ত প্রাপ্য হবেন সে তথ্যাদি পরিপত্রের সর্বশেষ আদেশ বইটিতে রয়েছে।
নিরীক্ষার কাজে যে সমস্ত বিধি বিধানের আলোকে জিপিএফ এর কাজ করা হয়ে থাকে তা তুলে ধরা হয়েছে। এই বইটিতে একজন সরকারি চাকুরিজীবীর জিপিএফ সংক্রান্ত সমস্ত কিছুর তথ্য পাবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। বইটি লেখার সহায়ক হিসাবে অনেক সম্মানিত লেখকের বই থেকে তথ্য উপাত্ত গ্রহণ ও সহায়ক ধারণা গৃহীত হয়েছে বিধায় সকল সম্মানিত স্বত্বাধিকারিগণের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা নিবেদন করছি। যার অনুপ্রেরণায় পাণ্ডুলিপি থেকে মলাট আকারে বই এ রূপায়ন হয়েছে সে হলো আমার বড় পুত্র মুহাম্মদ নাফিউল হক (আবীর)। বইটি লেখার সময় হিসেবে করোনাকাল কালের স্বাক্ষী হয়ে আমার জীবনে ইতিহাস হয়ে থাকবে।
করোনা না আসলে আমার বই রচনার চিন্তার সুযোগ হতো না। আমি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি যারা করোনাকালে নিজের জীবন পেশাগত কাজের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনায় মারা গেছেন। বইটি প্রকাশনায় কৃতজ্ঞতা নিবেদন করছি জনাব মোঃ আজিজুল হক, অতিরিক্ত হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (প্রশাসন), জনাব মোহাম্মদ মমিনুল হক ভূইয়া, সিএএফও পেনশন ও ফান্ড ম্যানেজমেন্ট, জনাব তানযিলা চৌধুরী সিএএফও, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনাব মোঃ মামুন-উল-মান্নান, অতিরিক্ত হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (হিসাব ও পদ্ধতি) জনাব শাহজাহান সিরাজ, কনসালটেন্ট পেনশন ও ফান্ড ম্যানেজমেন্ট, জনাব কাজী মোবারক আলী (সাবেক সিএএফও, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়)। জনাব মোঃ জাকির হোসেন, উপ-হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (পদ্ধতি), জনাব মোঃ অহিদুজ্জামান উপ-হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (পরিদর্শন ও আইসিইউ)।
এই বইটির পাণ্ডুলিপি কাজে ও মোড়ক নির্বাচনে সহযোগিতা করে লেখিকাকে চিরজীবন কৃতজ্ঞতার পাশে বাধিত করেছেন সিজিএ ও অডিট বিভাগের আমার শুভাকাঙ্ক্ষী সহকর্মীবৃন্দ। তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমি শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি যাদের শিক্ষাদানে আজ কলমকে বই লেখার উপযোগি করে তুলেছেন। বইটি দিয়ে আমার লেখার জগতে অনুপ্রবেশ। তাই লেখার ভাষাগত ব্যবহার ও মুদ্রণজনিত ত্রুটি বিচ্যুতি থাকতে পারে। বইটির ভুল-ত্রুটির জন্য সম্মানিত পাঠকবৃন্দের কাছে বিনীত ক্ষমা প্রত্যাশা করছি। পাঠকবৃন্দের ইতিবাচক সহযোগিতা, ভুল-ত্রুটির পরামর্শ কৃতজ্ঞ চিত্তে গ্রহণ করা হবে। পাঠকবৃন্দের সহযোগিতায় রচিত হতে পারে আরেকটি নতুন নীল বইয়ের মোড়ক।
জনাব নাছিমা আনোয়ারা বেগম, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার রসুলপুর গ্রামে ১৯৭৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম মফিজ উদ্দিন এবং মাতা আয়েশা আক্তার। তাঁর বাবা সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। তিনি নান্দাইল পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় হতে ১৯৯৩ সালে এসএসসি, ১৯৯৫ সালে শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজ, নান্দাইল হতে এইচএসসি'তে প্রথম বিভাগে কৃতকার্য হন। তিনি আনন্দমোহন সরকারি কলেজ হতে বিএসএস (সম্মান) ও এমএসএস (অর্থনীতি) বিষয়ে ২য় শ্রেণিতে পাশ করেন। তিনি ২০০১ সালে ডিটিসিবিতে জুনিয়র অফিসার পদে চাকরি জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০০৪ সালে সিএও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। সিএও অর্থ বিভাগ, সিএও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণা- লয়, সিএও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সিএজি কার্যালয়, সিএএফও, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করেন। তিনি বর্তমানে সিএএফও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অডিট এন্ড একাউন্টস অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর স্বামী মুহাম্মদ রেজাউল হক, মাননীয় প্রধান বিচারপতির সচিব (হাইকোর্ট) বিভাগে কর্মরত আছেন। তাঁর শ্বশুর বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানার কার্তিকখীলা গ্রামে। তিনি তিন পুত্র সন্তানের জননী।