সরকারি চাকরিতে যোগদানের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যোগদান করতে হয়। তেমনি একজন সরকারি কর্মচারী নির্দিষ্ট সময় শেষে অবসরগ্রহণ করে পেনশন প্রাপ্য হন। মানুষ মরণশীল। তাই অনেক সময় চাকরিকাল শেষ হবার পূর্বেই অথবা পেনশন ভোগরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে থাকেন।
মৃত ব্যক্তির বৈধ উত্তরাধিকারীগণ পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হন। সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর মৃত্যুর পর বিধবা স্ত্রী/স্ত্রীগণ আর্থিক বিধিবিধান না জানার কারণে অনেক সময় হয়রানির শিকার হন। বিপত্নীক স্বামী পারিবারিক পেনশন দ্রুত গ্রহণ করতে পারলেও বিধবা স্ত্রী বা উত্তরাধিকারীদের ক্ষেত্রে বিলম্ব ঘটে থাকে।
বর্তমানে iBAS এর মাধ্যমে শতভাগ মাসিক পেনশন ও পারিবারিক পেনশন প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মহাহিসাবনিয়ন্ত্রকের আওতাধীন সিএফও পেনশন এন্ড ফান্ড ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে পেনশনারদের সেবা সহজতর হয়েছে।
এ গ্রন্থটিতে একজন পারিবারিক পেনশনার আবেদন করা থেকে শুরু করে কারো সাহায্য ছাড়া একাই যেন সব কাজ করতে পারে, এমনি ধারণা পাবে। গ্রন্থটি যদি সরকারি কর্মচারীবৃন্দের বিন্দুমাত্র উপকার হয় তাহলে আমার কষ্ট যথাযথ হবে বলে আমি মনে করি। পারিবারিক পেনশন আদেশ প্রাপ্তির তারিখ থেকে সর্বশেষ আদেশ, প্রজ্ঞাপনসহ সব আদেশ গ্রন্থটিতে রয়েছে।
iBAS এ পেনশন সংক্রান্ত সব মেনুর কার্যপ্রণালীগুলো সুবিন্যস্তভাবে এ গ্রন্থটিতে রয়েছে। গ্রন্থটি প্রণয়নে বিভিন্ন লেখকের বই থেকে ধারণা লাভ করেছি। সকল সম্মানীত স্বত্বাধিকারীগণের প্রতি শ্রদ্ধার সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বইটি প্রকাশনায় আমি অডিট এন্ড এ্যাকাউন্টস বিভাগের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সহকর্মীবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সাথে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
গ্রন্থটির সংকলনগত মুদ্রণজনিত, ভাষাগত ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো। পাঠকবৃন্দের সহযোগিতায় উন্মোচিত হতে পারে নতুন বিষয়ের আরেকটি বইয়ের মোড়ক।
জনাব নাছিমা আনোয়ারা বেগম, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার রসুলপুর গ্রামে ১৯৭৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম মফিজ উদ্দিন এবং মাতা আয়েশা আক্তার। তাঁর বাবা সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। তিনি নান্দাইল পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় হতে ১৯৯৩ সালে এসএসসি, ১৯৯৫ সালে শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজ, নান্দাইল হতে এইচএসসি'তে প্রথম বিভাগে কৃতকার্য হন। তিনি আনন্দমোহন সরকারি কলেজ হতে বিএসএস (সম্মান) ও এমএসএস (অর্থনীতি) বিষয়ে ২য় শ্রেণিতে পাশ করেন। তিনি ২০০১ সালে ডিটিসিবিতে জুনিয়র অফিসার পদে চাকরি জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০০৪ সালে সিএও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। সিএও অর্থ বিভাগ, সিএও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণা- লয়, সিএও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সিএজি কার্যালয়, সিএএফও, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করেন। তিনি বর্তমানে সিএএফও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অডিট এন্ড একাউন্টস অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর স্বামী মুহাম্মদ রেজাউল হক, মাননীয় প্রধান বিচারপতির সচিব (হাইকোর্ট) বিভাগে কর্মরত আছেন। তাঁর শ্বশুর বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানার কার্তিকখীলা গ্রামে। তিনি তিন পুত্র সন্তানের জননী।