আলহামদুলিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ ওয়া আলা আলিহি ওয়া আসহাবিহি আজমাইন, আম্মাবাদ। আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রজিম, বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। هُنَّ لِبَاسٌ لَكُمْ وَأَنْتُمْ لِبَاسٌ لَهُنَّ “তারা তোমাদের আবরণ এবং তোমরা তাদের আবরণ।” (সূরা বাকারা-১৮৭) আমি আপনাদের সবাইকে ইসলামি সম্ভাষণে স্বাগত জানাই- “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু” অর্থাৎ, আল্লাহর শান্তি, রহমত ও বরকত আপনাদের সবার ওপর বর্ষিত হোক। আজকে আমরা একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আলোচনার বিষয় : “ ম্যারেজ ইন ইসলাম ”। বিয়ে, জীবনসঙ্গী নির্বাচন, নিকাহ, বা বিয়ে পরবর্তী জীবন কীভাবে কাটাবেন সে সম্পর্কে। এককথায় বিয়েতে রাজি হওয়া বা কবুল বলার আগে এবং বিয়েতে রাজি হওয়া বা কবুল বলার পর যে প্রশ্নগুলো আসতে পারে সেগুলো সম্পর্কে, যাতে বিবাহিত দম্পতির জীবন কুরআন-হাদিস অনুযায়ী হয়। মূলত এখানে প্রশ্নোত্তর পর্বে আমরা বিবাহিত জীবন কীভাবে সফল হতে পারে, সে ব্যাপারে জানার চেষ্টা করবো। এটা কী হবে ওয়েডলক (wedlock) নাকি পেডলক (padlock)? বিয়ে যদি সফল হয় তাহলে ওয়েডলক, তা না হলে পেডলক। আপনাদের বিয়ে অথবা নিকাহ নিয়ে প্রশ্নের জওবাব দেওয়া হয়েছে এবং যা থাকছে:- বিয়ের আগে জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়া, বিয়ের পরে দাম্পত্য জীবন কীভাবে কাটাবেন এরকম প্রশ্ন। এই বিষয়ের মূল উদ্দেশ্য হলো : যারা এখনো বিয়ে করেননি, তারা সিদ্ধান্ত নিবেন। আর যারা বিয়ে করেছেন, তারা চেষ্টা করবেন ভালো স্বামী বা স্ত্রী হতে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহর কাছে দুআ করি তিনি যেন আমাদের পথনির্দেশ দেন, যাতে আমরা কুরআন-সুন্নাহর কাছাকাছি থাকতে পারি। ওয়া আখিরি দাওয়ানা আনিল হামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামিন।
জাকির আবদুল করিম নায়েক ১৮ অক্টোবর ১৯৬৫ সালে ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুম্বাইয়ের সেন্ট পিটার্স হাই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। এরপর তিনি কিশিনচাঁদ চেল্লারাম কলেজে ভর্তি হন। তিনি মেডিসিনের ওপর টোপিওয়ালা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড নাইর হসপিটালে ভর্তি হন। অতঃপর, তিনি ইউনিভার্সিটি অফ মুম্বাই থেকে ব্যাচেলর অব মেডিসিন সার্জারি বা এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯১ সালে তিনি ইসলাম-ধর্ম প্রচারের কার্যক্রম শুরু করেন এবং আইআরএফ প্রতিষ্ঠা করেন।নায়েকের স্ত্রী, ফারহাত নায়েক, ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নারীদের শাখায় কাজ করেন। ডাঃ জাকির বলেন তিনি আহমেদ দিদাতের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন, যার সাথে তিনি ১৯৮৭ সালে সাক্ষাত করেন। ডাঃ জাকিরকে অনেক সময় ‘‘দিদাত প্লাস’’ বলা হয়, এই উপাধি দিদাত নিজে দেন। এছাড়াও তিনি মুম্বাইয়ের ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং ইউনাইটেড ইসলামিক এইডের প্রতিষ্ঠাতা, যা দরিদ্র ও অসহায় মুসলিম তরুণ-তরুণীদের বৃত্তি প্রদান করে থাকে। ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে তাকে "পিস টিভি নেটওয়ার্কের পৃষ্ঠপোষক ও আদর্শিক চালিকাশক্তি" হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। যে চ্যানেলটি "সমগ্র মানবতার জন্য সত্য, ন্যায়বিচার, নৈতিকতা, সৌহার্দ্য ও জ্ঞানের" প্রচারের লক্ষ্যে কাজ করে বলে এর ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৬ সালে, একটি প্রেস কনফারেন্সে, জাকির নিজেকে নন-রেজিস্ট্যান্ট ইন্ডিয়ান (এনআরআই) বা বছরের অর্ধেকের বেশী সময় প্রবাসে বসবাসকারী ভারতীয় হিসেবে দাবি করেন।