শরীরকে সুস্থ রাখতে আমরা যেমন শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করি, তেমনি মস্তিষ্ক সতেজ রাখতে হাতিয়ার হচ্ছে গণিত চর্চা যা চিন্তাশক্তির বিকাশ সাধন করে এবং শিক্ষার্থীর মানসিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করে। এই বইটিকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন ৮ থেকে ১২ বছর বয়সের শিক্ষার্থীদের কোমল মন বিষয়গুলো খুব সহজে গ্রহণ করতে পারে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিশ্লেষণী মনোভাব গড়ে উঠবে এবং তার পাশাপাশি গণিত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন তো হবেই। প্রশ্নগুলোর মধ্যে কিছু প্রশ্ন আছে সহজ, কিছু প্রশ্ন হচ্ছে এমন যে শিক্ষার্থী তার চিন্তার জগতটা ঘুরে আসতে পারে আর কিছু কিছু প্রশ্ন সাজানো হয়েছে এমন ভাবে যেন শিক্ষার্থীর বিচার বিশ্লেষণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
এই বইটিতে গাণিতিক সমস্যার সাথে কিছু বাস্তব সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সামনে গণিতের সাথে বাস্তব জীবনের যে সহজ, সরল ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে, গণিতকে তারা শুধু একটা পড়ার বিষয় হিসেবে বিবেচনা করবে না; বরং বাস্তব জীবনে চলতে গেলে গণিতের প্রয়োজন আছে মনে করে তারা বিষয়টির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে। তারা বুঝবে, গণিত মানে আমাদের প্রতিদিনের বাস্তব জীবন, কঠিন কিছু নয়। আর আমরা যদি গণিতকে তাদের সামনে সহজ করে তুলে ধরতে পারি, তবে পরবর্তীতে তাদের গণিতভীতি অনেকাংশে কমে যাবে।
তাছাড়া, বইটি সাজানো হয়েছে আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড (IMO) এর সিলেবাস অনুসারে; যাতে করে যারা গণিত অলিম্পিয়াডের প্রতি আগ্রহী বা এই সম্পর্কিত কাজ করতে চায় তারা যেন শুরু থেকে একটি ভালো দিক নির্দেশনা পায়। বড় কোনো লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আমাদের যেমন প্রচেষ্টা দরকার, তেমনি তার পাশাপাশি দরকার সঠিক দিক নির্দেশনা।
অনেক সময় দেখা যায়, সঠিক উপায়ে চেষ্টা না করার ফলে অনেক পরিশ্রম করেও আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি না। তাই আমাদের দেশের শিশুরা যেন গণিতের মত মজার একটি বিষয়কে আতঙ্কের বিষয় হিসেবে না ভেবে সহজ ভাবে গ্রহন করে, এর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে এবং ভালো ফলাফলের মাধ্যমে জীবনে বড় লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে; এই বিষয় মাথায় নিয়ে বইটির কাজ করা হয়েছে।
বইটি যে কোনো শিশুকে গণিতের সমুদ্রে সম্পূর্ণ ডুবিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে। সে দেখবে গণিতের ভেতরটা কত সুন্দর। বুঝবে, এর স্বাদ তেতো নয়, সুস্বাদু খাবারের মতই এর স্বাদ লোভনীয়।
পিতামাতার একমাত্র সন্তান মোহাম্মদ শোয়াইবের জন্ম ও বেড়ে উঠা পটুয়াখালীতে। সে পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশের পর ঢাকার রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছে। বর্তমানে তার আগ্রহ আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিয়ে। সে একজন মাইক্রোসফ্ট সার্টিফাইড: ডাটা সাইন্টিস্ট এসোসিয়েট এবং গুগল সামার অফ কোড ২০২২-প্রোগ্রামে টেন্সরফ্লো-তে কান্ট্রিবিউটর হিসেবে ছিল। অবসরে সে বই পড়তে এবং মুভি ও সিরিজ দেখতে পছন্দ করে।