ফ্ল্যাপ থেকে--- ১ মরহুম হাফেজ সফিউল্যা এবং মা সাবিয়া খাতুনের কনিষ্ঠ পুত্র মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন ফেনী জেলার দাগন ভূঞা থানার দক্ষিণ করিমপুর গ্রামে জন্ম লাভ করেন। শৈশবকাল থেকেই লেখালেখির অভ্যাস গড়ে উঠে। কবিতা, ছোট গল্প, কলাম এবং ছড়া যা পত্রিকায়, ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হতো। কতটুকু লেখক বা কবি হতে পারা সেই দিকটা খেয়াল না করে তিনি মূলত মানবতার যে সংকট পরিবার সমাজ রাষ্ট্রে তথাপি বিশ্বায়ন জুড়ে তা কবি মনে নাড়া দেয়। মানুষ তার রবের দেয়া দ্বীন এবং মানবতার দূত মহানবী (সা:) কে অনুসরণ করলে মানবতার মূল্যবোধ এবং অধিকার প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারে বলে কবি বিশ্বাস করেন। সেই লক্ষেই কবির এই কাব্যময়ের ছন্দমিলে আহবান সেই কারি বা মুমিনের খোঁজে। মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন-এর এই বইয়ের পালিপিটি পড়ার সুযোগ হয়েছে আমার। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখে আমার মনে হয়েছে কুতুবউদ্দিন তার বুকের ভেতর একটি কবি মন লুকিয়ে রাখেন। রাখেন খুব যত করে। একে লালন করেন একটি উন্নত আদর্শ ও দর্শনের সৌন্দর্যে। কুতুবউদ্দিন কবিতার মাধ্যমে তার সেই আদর্শ ও দর্শনের কথা পাঠকের তৃষ্ণার কাছে দিতে চান। যদি কোনো পাঠক এখান থেকে আদর্শের পিপাসা মেটানোর আকাক্সক্ষা করেন তো মেটাতে পারেন বলে বিশ্বাস কুতুবউদ্দিনের। তিনি একজন সমাজ ও সময় সচেতন কবি। সমাজের অসংগতি এবং অসুন্দর দূর করার তীব্র ইচ্ছে রাখেন তিনি। এই ইচ্ছেটি কবিতার পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে। কবিতা জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। স্বপ্নের সঙ্গে থাকে কবিতার গাঁটছড়া। কুতুবউদ্দিন জীবন এবং স্বপ্নকেই লিখতে চেয়েছেন কবিতায়। অবশ্য আধুনিকতার প্রশ্নটি উত্থাপিত হতেই পারে। কবিতায় আধুনিকতা জরুরি। সমসাময়িকতা প্রয়োজন। সেটি শব্দে, বাক্যে এবং ভাষায়। আমি আশা করি কুতুবউদ্দিন তার পরিশ্রম এবং সাধনার মাধ্যমে আরও আধুনিক হয়ে উঠবেন। হয়ে উঠবেন সমসাময়িক। কবিতা শ্রম দাবি করে। মনোযোগ দাবি করে। আর দাবি করে সাধনা। এর মাধ্যমে একজন কবি এগিয়ে যান তার নিজস্বতার দিকে। তার আকাক্সক্ষা ও স্বপ্নের দিকে। শিল্পের নান্দনিক চ‚ড়া হলো কবিতা। সেই চ‚ড়ায় আরোহন করার হিম্মত এবং কৌশল জানা অপরিহার্য। ছন্দ উপমা চিত্রকল্প এবং বাণীর প্রাচুর্যে সমৃদ্ধ করতে হয় কবিতার শরীর। কুতুবউদ্দিন নিশ্চয় এসব দিকে মনোযোগী হবেন আশা করি। নিজের বিশ্বাস ও স্বপ্নকে সরলভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে তিনি কবিতার পথে হাঁটছেন। তার এই পথ চলা থামবে না বলে আশা করি। জাকির আবু জাফর কবি