প্রতিভাবান আর পরিশ্রমী মানুষ যদি বক্তৃতা বা কথা বলার দক্ষতা না থাকায় হীনম্মন্যতায় ভোগে এবং এটা তার উন্নতির পথে বাঁধাপ্রতিভাবান আর পরিশ্রমী মানুষ যদি বক্তৃতা বা কথা বলার দক্ষতা না থাকায় হীনম্মন্যতায় ভোগে এবং এটা তার উন্নতির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়, আমার তখন প্রচন্ড খারাপ লাগে। কারণ, লাখ লাখ ব্যক্তি নিজেদের এই গুণের অভাবের কারণে সৃষ্ট হতাশা আর জড়তা থেকে নিজেদের ভবিষ্যত অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। যদি আপনি মনে করেন, কখনো মানুষের সামনে বা কোনো সেমিনারে আপনার বক্তব্য দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না, তাহলে ভুল ভাবছেন। যদি মনে করেন বক্তৃতা দেওয়ার বা কথা বলার আর্ট শেখা যায় না, তাহলেও প্রচন্ড ভুল করছেন। এটা প্রমাণিত যে, যে কেউ জোরালো সম্বোধন আর কথা বলার আর্ট শিখে আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ সফল বক্তা হয়ে উঠতে পারেন। আপনার বিশ্বাস না হলে বইটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন, উল্লেখিত টেকনিক লক্ষ করুন আর তারপর নিজের ভেতর পার্থক্য দেখুন। এভাবে বললে ভুল হবে যে, আপনি শুরু থেকেই রাজনীতিবিদদের মতো জোরালো বক্তৃতা দিতে শুরু করে দেবেন। কিন্তু এটুকু নিশ্চিত বলতে পারি, আপনার ভয়, সংকোচ আর মানসিক চাপ অবশ্যই দূর করতে পারবো। বইটি লেখার পেছনে মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ আর সহজ টেকনিক দিয়ে প্রত্যেকের ভেতর এমন গুণের সৃষ্টি করা, যা দিয়ে তিনি যে কোনো স্থানে, যে কোনো সময়ে আর যে কোনো পরিস্থিতিতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজের বক্তব্য সবার সামনে রাখতে পারবেন এবং সফল হবেন। বক্তৃতা দেওয়া, মঞ্চ আর মাইকের ভয়ে আমার পাঠক যেন কখনো হতাশ না হোন।