প্রাচীন মিশরে নীলনদের তীরের ছোট্ট একটা গ্রাম থিবস। এখানে থাকত গরিবের ছেলে রামসিস-২। রামসিস গরিব হতে পারে, বোকা ছিল না মোটেও। উন্নত জীবনের জন্য সে সব সময় ভাবত, পরিশ্রম করত। একদিন থিবসের বাজারে হাঁটার সময় রামসিস খেয়াল করল, এই প্রচণ্ড গরমের দিনে তরমুজের চাহিদা ব্যাপক, কিন্তু জোগান একেবারেই কম। রামসিস এই সুযোগ লুফে নিল। সে তরমুজ ব্যবসার দিকে ঝুঁকে পড়ল। শুরুটা কিন্তু মোটেও সহজ হয়নি। পুরোনো তরমুজ বিক্রেতাদের সাথে হাড্ডাহাড্ডি কম্পিটিশন, কাস্টমারদের বিশ্বাস অর্জন করা- সব মিলিয়ে পরিশ্রম কম গেল না রামসিসের। কিন্তু নাছোড়বান্দা রামসিস। শেষমেশ এসব বাধা মোকাবিলা করে খ্যাতি কুড়ালো। ফ্রেশ ফ্রেশ টেস্টি তরমুজের লোভে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন ভিড় জমাতে লাগল রামসিসের দোকানে। রামসিসের ব্যবসা বড় হতে থাকল। একসময় সে নিজেই জমি কিনে সেখানে একটা খামার বানাল। দিন-রাত খেটেখুটে হাই কোয়ালিটির ফসল ফলানো শুরু করল। আস্তে আস্তে তার খামারটা এলাকার মাঝে বেশ নাম করে নিল। ততদিনে রামসিসের খ্যাতি পুরো দেশজুড়ে ছড়িয়েছে। তখনকার মিশরের ফারাওয়ের কানেও এ খবর গেল। তার কাজে ফারাও খুশি হয়ে তাকে তার সেক্রেটারি হিসেবে থাকার প্রস্তাব দেয়। রামসিস সানন্দেই প্রস্তাবে রাজি হলো। কিছুদিনের মধ্যেই দেখা গেল, যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ফারাও রামসিসের সাথে পরামর্শ করে নিচ্ছে।