লেখক বিভিন্ন দেশ ঘুরে বেরিয়েছেন, তবে লাটভিয়া , নরওয়ে এবং সুইডেন ভ্রমণের সময় একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করেছেন, কারণ তার মনের মধ্যে ছিলো তিনি এ বিষয়ক কিছু লিখবেন। তিনি যখন ভ্রমণ করেন তখন তার মধ্যে একটা লেখক সত্তা ইতিমধ্যেই বিরাজ করছিলো। তিনি স্বতফুর্তভাবে সে ভ্রমণে অংশগ্রহণ করেন। তিনি এ ভ্রমণ কাহিনী রচনা করেছেন মূলত তার নিজস্ব জীবনবোধের সাথে ভ্রমণ বোধের খুঁটিনাটি পার্থক্য বিশদভাবে তুলে ধরার জন্য। এর মাধ্যমে মাঝে মাঝে রোমাঞ্চ, মাঝে মাঝে থ্রিলার কাহিনীর অবতারণা করেছেন যা এই ভ্রমণকে দিয়েছে আলাদা একটা মর্যাদা। কখনো প্লেনে, কখনো জাহাজে, কখনো পদব্রজে এ ভ্রমণ করেছেন এবং প্রতিটি ইভেন্টের খুঁটিনাটি তুলে ধরেছেন। সেখানকার গাইডদের মুখে শোনা বিভিন্ন কথা এবং তার মূল্যায়ন নিয়ে মাঝে মাঝেই তিনি দেশের সমমনা স্ট্রাকচার, জীবনাচরণ, প্রেম ভালোবাসার পার্থক্য রচনা করেছেন। বিশেষ করে ভাইকিংসদের যাযাবর জীবনের একটা সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এ বইয়ে তিনি সুনিপুণভাবে বিন্যস্ত করেছেন , তার উপলব্ধির সাথে ইউরোপিয়ান কৃষ্টি কালচারের পার্থক্য এবং যোগসূত্র স্থাপনের চেষ্টা করেছেন। সর্বোপরি এমন একটি ভ্রমণ কাহিনী হিসেবে সহজ, সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন, যা আপনাদের আনন্দ দান করবে।
ফুলকাম বাদশাহ্, জন্ম ১৯৭৯ সাল, খাগডহর মধ্যপাড়ায়, ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্রের কূল ঘেঁষে। বাবা মরহুম ইব্রাহিম খলিল,তিনি গণপুর্তঅধিদপ্তরে চাকুরি করতেন,আমার মা সরকার শামসুন্নাহার রেডিও এবং বিটিভির একজন এনলিস্টেড গীতিকার, তার প্রথমকাব্যগ্রন্থ ‘সাধন তত্ত্ব’। আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট। বুয়েটের এর স্নাতক এবং এআইটি থাইল্যান্ড থেকে স্নাতকোত্তর ।লেখালেখিরতেমন কোন অভ্যাস ছিলো না, তারপরও শুরু হয়েছে সাম্প্রতিককালে। অনেক দেশ ভ্রমণ করেছি, তবে ২০১৭ সালে ভ্রমণের পূর্বেস্বনামধন্য লেখক শাকুর মজিদ এর একটি ভ্রমণ বিষয়ক বই “হো চি মিনের দেশে” থেকে উৎসাহ পাই।তারপর, পালাক্রমে সেলেখা ফেসবুকে পোস্ট করি। এই লেখা পড়ে দু’ একজন হাসেন এবং পড়ে মন্তব্য দেন, বলেন, “তুমি লেখো, তোমার লেখার মধ্যেএকটি মেসেজ আছে”। তাতে আরো লেখার হাত প্রজ্বলিত হয়। সেটার পান্ডুলিপি গিয়ে পড়ে মোঃ ফাহিমুল ইসলাম এর কাছেএবং তিনি বই ছাপানোর দায়িত্ব নিলেন ।ব্যক্তি জীবনে আমি গর্বিত। আমার সহধর্মিনী মাহবুবা আকন্দ মিনু একজন গুণী নজরুল সঙ্গীত শিল্পী। তার প্রেরণা ছাড়াএ বই রচনা সম্ভব হতো না, আমার কন্যা ফাইজা ফাইরুজ এবং পুত্র ফারশাদ ইব্রাহিম, ভ্রমণের সময় যারা আমার হ্রদয়ে ছিল।আমার পরবর্তী রম্য রচনা ‘ফুলস্টপ’।