সংবেদনশীল লেখক কালী রঞ্জন বর্মণ রাজবংশী ক্ষত্রিয় সমাজের ঐতিহ্য অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হয়ে এ গ্রন্থে আত্মপরিচয় উন্মোচনের পথকে প্রশস্ত করেছেন। সমাজের একটি প্রাচীনতম জনগোষ্ঠীর সদস্য যাঁরা বর্ণ হিন্দুর শোষণের শিকার হয়েছিলেন, যাঁদের উপবীত গ্রহণের অধিকার খর্র করা হয়েছিলো, তাঁদের শিক্ষা, কৃষিসহযোগের পথকে সম্প্রসারণ করে সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য যাঁরা অদৃষ্টপূর্ব ভূমিকা পালন করেছেন তাঁদের ভেতর হরমোহন রায় খাজাঞ্চি ও পঞ্চানন বর্মার নাম চিরস্মরণীয়। আত্মবিস্মরণ সামাজিক উন্নয়নের পরিপন্থি। পঞ্চাননচর্চা, সমাজ-গবেষণা ও জ্ঞানসাধনার ভেতর দিয়ে মানুষকে কল্যাণকামী নাগরিক হিসেবে প্রস্তুত করবার জন্য এ গ্রন্থ উদ্দীপক কর্ম হিসেবে আদৃত হবে বলে বিশ্বাস করি। পঞ্চানন বর্মা ও সমকালীন ঘটনাপঞ্জির আলোকপাত এবং ক্ষত্রিয় সমিতির অধিবেশনের তারিখ সন্নিবেশ করে লেখক পঞ্চাননচর্চাকে সহজতর করে তুলেছেন। রাজবংশী ক্ষত্রিয় সমাজের মর্যাদা সমুন্নত রাখবার উদ্দ্যেশ্যে যাঁরা নিজেদের উৎসর্গ করেছেন তাঁদের গৌরবময় কৃতির কিরণ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেবার জন্য লেখকের ঋণ অপরিশোধ্য। গৌরাঙ্গ মোহান্ত কবি ও গবেষক
Title
উত্তরবঙ্গে ক্ষত্রিয় আন্দোলন: মনীষী পঞ্চানন বর্মা ও সমকালীন ঘটনাপঞ্জি