আমাদের চিকিৎসকদের প্রায় কেউই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক প্রসব দেখেননি। কোনো রোগের প্যাথলজি বোঝার জন্য শরীরের স্বাভাবিক ফিজিওলজি বোঝাটা যেরকম গুরুত্বপূর্ণ, সেরকম লেবারকে তার নিজস্ব গতিতে এগোতে দিতে চাইলে এর প্রাকৃতিক ও আত্মিক দিকগুলো জানাও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি না-ই জানি লেবার পেইনের উদ্দেশ্য কী, কীভাবে ঔষধ ছাড়াই এই পেইনের মোকাবিলা করা সম্ভব, তাহলে আমাদের মায়েদের কীভাবে আমরা অনুপ্রাণিত করতে পারব! এটা সর্বাগ্রে একজন হবু মাকে জানতে হবে, তেমনই জানতে হবে— প্রসব-সহযোগী হিসেবে তার স্বামী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে; এরপর তার অন্য সেবাপ্রদানকারীদের—যাদের মাঝে নার্স, মিডওয়াইফ, অবস্টেট্রিশিয়ান বা প্রসূতিবিদ ও শিশুচিকিৎসক-সহ সকলেই আছেন। যদিও না জানার কারণে অনেক মেয়ের কাছেই লেবার পেইন একটা ভীতিকর ব্যাপার এবং তারা স্বেচ্ছায় সিজারিয়ান ডেলিভারির দিকে ঝুঁকে পড়ছে, তারপরও আমার দেখা অনেক হবু মা-ই এখন আগের চাইতে সচেতন। নরমাল ডেলিভারির প্রতি তারা অত্যন্ত আগ্রহী। তারা লেবার ও এর প্রিপারেশন সম্পর্কে জানতে চায়, নরমাল ডেলিভারি করাতে আগ্রহী—এমন প্রসব সহযোগীর খোঁজও করে। আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই জানার ক্ষেত্রটা খুবই সীমিত। আমি বিশ্বাস করি, বাংলা ভাষায় বইটি এক্ষেত্রে একটি মাইলস্টোন হয়ে থাকবে। ~ ডা. ফাতেমা ইয়াসমিন এফসিপিএস (অনস্টেট্রিক্স গাইনোকোলজি)