আজ ২০২২-এ এসে আমি এটা লিখছি, যখন কিনা পৃথিবীতে ধর্মের মৃত্যু হয়েছে। আজ এই পৃথিবী শাসন করছে এমন একটি সমাজ, যাদের একাংশ নাস্তিক; আরেকাংশ নাস্তিক নয়, বরং ধর্মবিরোধী। এদের কাজ মানুষকে যেকোনো উপায়ে ধর্ম থেকে দূরে রাখা। বিজ্ঞানকে তারা দাজ্জালের চোখের ন্যায় ব্যাবহার করেছে। সেই চোখের দিকে তাকানোর সাহস না পেয়ে আমরা আমাদের রাসুলের সুন্নাত প্রতিষ্ঠায় পরাজিত মুসার লাঠি আর সুলাইমানের আংটি কোথায় আছে খুঁজে পাচ্ছি না। এই দুটির সন্ধান যদি তারা পেয়ে যায়, ধর্মের যে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। আল্লাহ আমাদের উপর রাগান্বিত। তিনি ছাড়া যে আমাদের সহায় কেউ নেই; তবু তিনি আমাদের আজ সাহায্য করছেন না, তাও আমাদের পূর্বঘটিত অবহেলা আর উদাসীনতার কারণে। দুশো বছর আগে তারা যখন ধর্ম বিনাশের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সারা রাত জাগ্রত ছিল, তখন আমরা ধর্মপ্রাণ মানুষেরা ঘুমাচ্ছিলাম এই ভেবে যে, আমরা তো আসলে জয়লাভ করেই ফেলেছি। আমার মালিক বলেছিলেন, তুমি তা-ই পাবে যার জন্য তুমি সাধনা করবে। তারাও তা-ই পেয়েছে যার জন্য তারা রাতের পর রাত সাধনা করেছে। আমাদের সাধনা ছিল ঘুম, আমরা সেটাই পেয়েছি। ইনশাআল্লাহ, নতুন দিনের জন্য আমাদের যে ধর্ম প্রতিষ্ঠার সাধনা অব্যাহত রেখেছি, আমাদের মালিক আমাদের সেটা অবশ্যই দেবেন। আবারও বলছি, মানুষ তা-ই পায় যেটির জন্য সে সাধনা করে। তাই আট আমার এই একটুখানি সাধনা তাকে পাওয়ার। তিনি যে চিরঞ্জিব, সর্বশক্তিমান; তিনি যে আছেন সেটা আমার ভাইবোনদের বোঝানোর চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ। জানি না আমি পারব কি না। তবে আমি এই ভেবে খুবই আনন্দিত যে, বিচারের দিনে আমার মালিক আমাকে সেটা দেখাবেন আর ক্ষমাও করে দেবেন, ইনশাআল্লাহ।